আই এস এলর প্রথম ম্যাচেই মুম্বাইর বিরুদ্ধে পয়েন্ট নষ্ট করল মোহনবাগান সুপার জয়েন্ট।

0

ইতিমধ্যে ২০২৪ – ২০২৫ মরশুমের ইন্ডিয়ান সুপার লীগ শুরু হয়ে গেছে, এখানে ভারতবর্ষের সবথেকে বড় দলগুলির মধ্যে কঠিন লড়াই দেখতে পারি আমরা। ইন্ডিয়ান সুপার লিগ টুর্নামেন্টটা কলকাতা বাসীদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কলকাতা তিন প্রধান অর্থাৎ ইমামি ইস্টবেঙ্গল এসি মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট এবং মোহামেডান এফসি এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছে। এই তিন প্রধানের মধ্যে এক প্রধানের খেলা হয়ে গেল আজ। আগের মরশুমের জয়ী দল এবং বিজয়ী দলের মধ্যে আজকের প্রথম ম্যাচ আয়োজিত হয়েছিল কলকাতায়, অর্থাৎ মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট বনাম মুম্বাই সিটি এফসি।

খেলা শুরুর পর থেকে দুই দলই প্রচন্ড আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে। একাধিক পাস দ্বারা নিজেদের বল দখলে রাখার চেষ্টা করতে থাকে দুই দল। দুই দলই একাধিক আক্রমণের চেষ্টা করলেও সবুজ মেরুন শিবিরের আক্রমণটা কোথাও না কোথাও যেন জোরালো হচ্ছিল। এর ফলে শুরুতেই খানিকটা চাপে পড়তে হয় মুম্বাইয়ের রক্ষণভাগকে । ম্যাচ শুরুর ৯ মিনিটের মাথায় সবুজ মেরুনের জোরালো আক্রমণে লিস্টন কলাসোর করা একটি ক্রস থেকে মুম্বাইয়ের রক্ষণ ভাগের খেলোয়ার তিরির পায়ে লেগে গলে বল চলে যায়। এর ফলে ম্যাচের শুরুতেই এক ধাপ এগিয়ে যায় মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। মুম্বাই সিটি ধীরে ধীরে আবারো আক্রমণে উঠতে থাকে। কিন্তু সবুজ মেরুনের পাল্টা আক্রমণের ধারে তেজ বেশি দেখা যাচ্ছিল। দুই দলেরই গোলের একাধিক সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও গোল সংখ্যা কোন পরিবর্তন ঘটছিল না। ২৭ মিনিটের মাথায় পাল্টা আক্রমণের তেজে একটি কর্নার জিতে নেয় মোহনবাগান এবং এই কর্নার থেকেই পরবর্তী গোলটি করে দেন রড্রিগেজ। প্রথমার্ধে ২ গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।

দ্বিতীয় অধ্যায়ের শুরু থেকেই অন্যরকম দুই দলের খেলা দেখা যায়। সবুজ মেরুন শিবির নিজেদের পায়ে বল রেখে নিজেদের বল পজিশন বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। এবং বিপক্ষ দল মুম্বাই সিটি এফসি একাধিক আক্রমণ দ্বারা সবুজ মেরুন রক্ষণভাগে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছিল। মুম্বাই সিটি এফসি একাধিক সুযোগ তৈরি করার পরও গোল সংখ্যার পরিবর্তন আনতে পারছিল না। ইতিমধ্যেই ৭০ মিনিটের মাথায় একটি কর্নার থেকে তিরি গোল করে খেলায় ফিরিয়ে আনে মুম্বাইকে এরপর থেকেই মুম্বাই সিটি আক্রমণ গুলো আরো জোরালো হতে থাকে এবং এরই দায় একাধিকবার সমস্যায় পড়তে হয় সবুজ মেরুনের গোলরক্ষক কে। ম্যাচের শেষ সময় অর্থাৎ ম্যাচের বয়স যখন ৯০ মিনিট অতিক্রম হচ্ছে মুম্বাই সিটি এফ সির একটি জোরালো আক্রমণে থেকে একাধিক পাস দ্বারা সবুজ মেরুন বক্সে এসে ক্রুমা গোলের একপাশে বলটি কে জোরে প্রেস করে দেন। এবং এরই সাথে সমতায় ফেরে মুম্বাই সিটি এফসি এবং ইন্ডিয়ান সুপার লিগের প্রথম ম্যাচ ২ – ২ গোল সংখ্যায় শেষ হয়।