শিলংয়ের ধাক্কায় পাহাড়ের খাদে ইস্টবেঙ্গল

0

ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে, একাধিক হারা জেতা দিয়ে ডুরান্ড এর যাত্রা চলছে, আজ ছিল কলকাতার তিন প্রধানের মধ্যে এক প্রধানের ম্যাচ। শিলং লাজং এফসি বনাম ইমামি ইস্টবেঙ্গল এফসি।

খেলা শুরু হওয়ার পর থেকেই দুই দলই আক্রমণাত্মক খেলছিল, একাধিক পাস দ্বারা প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে বারবার করে আঘাত করছিল দুই দলই, কিন্তু লাল বাহিনী গতিতে যেন কোথাও পিছিয়ে পড়ছিল লাল হলুদ ব্রিগে, এরপর ৮ মিনিটের মাথায় খেলার প্রথম গোলটি চলে আসে শিলং লাজং এফসির কর্নার থেকে মার্কাসের হেড দ্বারা, এরপর লাল হলুদ বাহিনী ও খোঁচা খাওয়া বাঘের মত একাধিকবার আক্রমণে উঠতে থাকে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়ে ওঠে না। অন্যদিকে শিলং লাজং এর আক্রমণভাগের খেলোয়াররা তাদের গতি ব্যবহার করে একাধিকবার ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্স ভেদ করতে সক্ষম হয়েছেল । লাল হলুদ ব্রিগেডের গোলকিপারকে একাধিকবার সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে, কিন্তু তার বুদ্ধিমত্তার পরিচয় জন্যই গোল সংখ্যা আর বাড়েনি প্রথমার্ধ, ফলে ১-০ ব্যবধানে প্রথমার্ধ শেষ হয়।

দ্বিতীয় আর্ধের শুরুতে আবারো আক্রমণের ভাগ বাড়তে থাকে দুই দলের, দুই দলেরই রক্ষণভাগের সমস্যায় পড়তে হয়। লাল হলুদ ব্রিগেড একাধিক টাচ দ্বারা প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগকে ভেদ করার পরও শেষ উদ্দেশ্যটা খুঁজে পাচ্ছিল না, দ্বিতীয় আর্ধের সময় কিছুক্ষণ গড়ানোর পরই কোচের পরিকল্পনা অনুযায়ী রক্ষণভাগের খেলোয়াড় কমিয়ে আক্রমণ ভাগে একাধিক খেলোয়াড় বাড়ানো হয় , ম্যাচের বয়স যখন ৭৭ মিনিট তখন বিষ্ণুর করা একটি ক্রস থেকে নন্দার করা গোলে ইস্টবেঙ্গল এফসি সমতায় ফেরে, কিন্তু এই ব্যবধান বেশিক্ষণ বজায় থাকে না এর কিছুক্ষণের মধ্যেই আরেকটি গোল তুলে নেয় শিলং লাজং এফসি, ৪৩ মিনিটের মাথায় ফিগো সিয়ানদাই এর করা গোলে আবার লাল বাহিনী এক ধাপ এগিয়ে যায় আজকের এই ম্যাচে। এরপর ইস্টবেঙ্গল একাধিক চেষ্টা করে তাদের পরবর্তী গোলটি তোলার, কিন্তু তাদের কোন প্রচেষ্টাই ফলাফল পায়না, ম্যাচের শেষ মুহূর্তে বক্সের মধ্যে থেকে করা একটি শর্ট দ্বারা হ্যান্ডবল আদায় করার প্রচেষ্টা থাকলেও রেফারি সেটিকে নাখোঁজ করে দেয়। এবং ম্যাচ এই ব্যবধানেই শেষ হয়। শিলং লাজং ইমামি ইস্টবেঙ্গল ২-১ এর ব্যবধানে পরাজিত করে সরাসরি সেমিফাইনালে প্রবেশ করে।