ক্রিকেটের তীর্থভূমি লর্ডসেই মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল

0

২রা মে, শুক্রবার, কলকাতাঃ বেজে গেলো ২০২৬ মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দামামা, এবার আয়োজক দেশ ইংল্যান্ড এবং ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে লর্ডসে। যেই তথ্য ১মে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড নিশ্চিত করেছে। এই নিয়ে টানা তৃতীয়বার ইংল্যান্ডে আয়োজিত কোনো আইসিসি ইভেন্টের ফাইনাল আইকনিক লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এর আগেও ২০১৭ মহিলা ওয়ান্ডে বিশ্বকাপের ফাইনাল এবং ২০১৯ পুরুষ ওয়ান্ডে বিশ্বকাপ ফাইনালের আসর এই মাঠেই বসেছিলো এবং কাকতলীয় ভাবে দুইবারই ট্রফি অধিগ্রহন করেছিলো ইংল্যান্ড। ওল্ড ট্র্যাফোর্ড, এজবাস্টন, হেডিংলি, দ্য ওভাল, হ্যাম্পশায়ার বোল এবং ব্রিস্টল কাউন্টি এই মাঠ গুলিতেও ম্যাচগুলো আয়োজিত হবে। ১২টি দলের অংশগ্রহনকারী মহিলা বিশ্বকাপ আরম্ভ হবে ১২ই জুন এবং লর্ডসে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ৫ই জুলাই।

বর্তমান আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের ওপর সম্পূর্ন আস্থা রেখে বলেছেন, “তারা নিখুঁতভাবে টুর্নামেন্টটি পরিচালনা করবেন এবং যে ইংল্যান্ডের সমৃদ্ধ ক্রিকেট ঐতিহ্য এই বিশ্বকাপকে আরও মর্যাদাপূর্ণ করে তুলবে। ফাইনালের জন্য লর্ডস ছিল একপ্রকার নিঃসন্দেহ পছন্দ। এছাড়া মাঠগুলোর ঘোষণা গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়েরা অংশগ্রহণ করবেন এবং এটি দক্ষতা, উদ্দীপনা ও ক্রীড়াসুলভ মনোভাবের এক মহা উৎসবে পরিণত হবে।” তিনি আরও জানিয়েছেন যে, “যুক্তরাজ্যের বৈচিত্র্যপূর্ণ সমাজ সব দলকেই সবসময় উষ্ণ সমর্থন জানিয়েছে, যা আমরা অতীতের বিভিন্ন আয়োজনে খুব স্মরণীয়ভাবে প্রত্যক্ষ করেছি। ২০১৭ সালে লর্ডসে অনুষ্ঠিত মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল ছিল একটি বিকাশমান মুহূর্ত। আমি মনে করি না যে এর চেয়ে ভালো কোনো স্থান ফাইনালের জন্য হতে পারে। আমরা এখন পুরো মনোযোগ দিচ্ছি প্রস্তুতিতে, এবং আমরা আশা করছি যে উত্তেজনাপূর্ণ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বজুড়ে ভক্তদের মুগ্ধ করবে এবং ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রেও এটি একটি প্রদর্শনী হিসেবে কাজ করবে।”

ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার রিচার্ড গোল্ড ২০২৬ মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে ‘দেশে আয়োজিত সর্ববৃহৎ মহিলা ক্রিকেট ইভেন্ট’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। রিচার্ড গোল্ড বলেন, “আমরা ২০২৬ সালের আইসিসি মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত এবং সাতটি আইকনিক ভেনু নিশ্চিত করতে পেরে আনন্দিত। বিশেষভাবে গর্বের বিষয় হলো, ফাইনালটি লর্ডসে অনুষ্ঠিত হবে — এটি বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ক্রিকেট স্টেডিয়াম এবং প্রত্যেক ক্রিকেটারের স্বপ্ন থাকে লর্ডসে এমন একটি বড় ম্যাচে খেলার। তবে শুধুমাত্র আকার বা পরিসরের দিক থেকেই নয়। এটি খেলোয়াড়, দর্শক ও সম্প্রচারকদের জন্য বিশ্বমানের অভিজ্ঞতা দেওয়ার বিষয়। আমরা চাই এই প্রতিযোগিতা যেন শুধু একক একটি মুহূর্ত না হয়, বরং একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তনের অংশ হয়। এই বিশ্বকাপ নতুন এক প্রজন্মের ভক্তদের জন্ম দেবে যারা হয়তো মহিলা ক্রিকেট নিয়ে বড় হয়ে ওঠেনি। কিন্তু ভবিষ্যতে ক্রিকেট কল্পনাও করতে পারবে না মহিলাদের ছাড়া।”