কলকাতা:- সমানে সমানে লড়াই, এই বেদ বাক্য হয়তো বলা যাবে না আজকে ম্যাচ দেখবার পর একদিকে লীগ টেবিলে শেষে থাকা ইস্টবেঙ্গল অপরদিকে কলকাতার সাদা কালো শিবির। সমানে সমানে লড়াই কেন কথাটি বলা যাবে না তার সব থেকে বড় নজির আজ ম্যাচের পরে রেফারিং বিতর্ক ।
অনেক সমর্থকদের মতে মিনিট আরবি রেফারিং নিয়ে রীতিমতো ধোঁয়াশা যুবভারতীতে।
একদিকে নজরে আজকের রেফারি হরিশ কুন্ডু অপরদিকে তার রেফারিং নিয়েই উঠে যাচ্ছে একের পর এক তিক্ত প্রশ্ন, মাঠ থেকে ভেসে আসছে কু মন্তব্য?
একদিকে নিজেদের প্রথম জয় খুঁজতে খোচা খাওয়া বাঘের মত নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল কিন্তু আজ যেন ভাগ্য সাথে ছিল না তাদের ম্যাচের শুরুতেই ৩০ মিনিটের মাথায় পরপর দুটোর লাল কার্ড দেখতে হয় লাল হলুদ শিবিরকে। তারপর থেকেই শুরু বিতর্ক কিন্তু এই বিতর্কে আরো যেন ঘি ঢালার কাজ করে পেনাল্টি বিতর্ক। দলকে নাকি ন্যায্য পেনাল্টি দেখে বঞ্চিত করা হয়েছে এমনই প্রশ্ন উঠছে রেফারি বিরুদ্ধে?
FT | A point 𝗲𝗮𝗿𝗻𝗲𝗱 with grit and character! 🫡#JoyEastBengal #ISL #EBFCMSC pic.twitter.com/ZEYBMyjE3Y
— East Bengal FC (@eastbengal_fc) November 9, 2024
ম্যাচ গড়িয়ে তখন ঘটনা 21 মিনিটের মাথায় বল পায় ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠের মধ্যমণি সউল ক্রেস্পো, বল পাইপেই যেন স্ট্রাইকার দিয়ামানতাকোসের দিকে বলতে কি বাড়িয়ে দেন কিন্তু ফের শুরু হয় বল দখলের লড়াই। রক্ষণ বিভাগ নিয়ে বারংবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে অতিথি দল মহামেডান স্পোর্টিং, তবে অনেকেরই মতে বাজেভাবে টাইটেল করা হয়েছিল লাল হলুদের স্ট্রাইকারকে কিন্তু পেনাল্টি দেওয়া হলো না।
দিয়ামন্তকোস পড়ে যাওয়ার পর কাকে ঘিরে বহুবার পেনাল্টির আবদার করে ইস্টবেঙ্গল কিন্তু সেটিকে কার্যতোয়াকা করে এগিয়ে যান তিনি। ফির পরপর দুটি রেড কার্ড প্রথমে ডান দিকের উইঙ্গার নন্দকুমারকে লাল কার্ড দেন রেফারি হরিশ কুন্ডু।
ম্যাথ গড়িয়ে তখন ২৯ মিনিটের মাথায় লাল হলুদে দুজন ফুটবলারকে লাল কার্ড দেখিয়ে আজকে খবরের হেডলাইনে ম্যাচের রেফারি হরিশ কুন্ডু। স্বভাবতই কখনোই বড় ক্লাব বা বড় তারকা খেলোয়াড়ের কথা ভাবেন না তিনি তার কাছে শেষ কথা বিশ্ব ফুটবলের নিয়মাবলী তাই প্রথমে কড়া হাতে নেমেছিলেন তিনি।
ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র ভুল আর কড়া হাতে দমন করছিলেন রেফারি হরিশ কুণ্ডু। ম্যাচের ২৯ মিনিটের মাথায় ইস্টবেঙ্গলের নন্দকুমার ও বিপক্ষের আমার জিতের মধ্যে রীতিমত শুরু হয় বল দখলের লড়াই সেই সময়ই নন্দকুমার এর হাত লাগে বিপক্ষের খেলোয়াড়েরদেখানোসেই থেকেই বিপত্তি।
প্রথমে বিপক্ষের অমরজিৎ কে হলুদ কার্ড দেখানো হলেও পরবর্তীতে তার মুখ থেকে কার যত রক্তের ফোয়ারা দেখে হতভম্ব রেফারি সিদ্ধান্ত পাল্টে নন্দকুমারকে লাল কার্ড দেখানো শ্রেয় বলে মনে করেন তিনি ।
ম্যাচ শেষ হবার পরে কার যত হাতের বাইরে চলে যায় পরিস্থিতি যুবভারতীর বাইরে রেফারিং বিতর্ক নিয়ে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মধ্যে উত্তাপ লেগেই রয়েছে।