আইএসএল মরশুমের আট নম্বর ম্যাচ খেলতে মাঠে নেমেছে কলকাতার অন্যতম প্রধান ক্লাব ইস্টবেঙ্গল এফসি। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আয়োজিত এই নর্থইস্ট ইউনাইটেড এসসি বনাম ইস্টবেঙ্গল এফসি র ম্যাচ। একাধিক পয়েন্টে পিছিয়ে থাকা ইস্টবেঙ্গল এসি যেন কোথাও ধুলোয় মিশিয়ে দিল নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি কে। প্রথমেই জড়ালো অ্যাটাক থেকে শুরু হয় লাল হলুদের আক্রমণ, কিছু সময়ের মধ্যেই প্রথম গোল তুলনায় তারা। তারপর একাধিক আক্রমণ সোনালেও খেলায় ফিরে আসতে পারেনা নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি।
খেলা শুরু থেকেই আক্রমণ করতে থাকে দুই দল, লাল হলুদের আক্রমণের তেজ তুলনামূলক বেশি হয়। একাধিক জোড়ালো আক্রমণে উঠে আসে লাল হলুদ বাহিনী। পাল্টা আক্রমণ সোনালেও গোলের সামনে ঠাঁই হারিয়ে ফেলে নর্থইস্ট দল। সম্পূর্ণ লাল হলুদ দলকে আজ অন্যরকম দেখায় মাঠে। আক্রমণভাগ রক্ষণ ভাগ কোন জায়গায়ই কোনরকম খামটি চোখে পড়ে না। প্রতিটি আক্রমণ তাদের সঠিক লক্ষ্যে ছিল এবং ফলস্বরূপ ২৩ মিনিটের মাথায় মাদিদ তালালের করা ক্রস থেকে দিমান্তাকস জালে বল জড়িয়ে দেয় এর সাথে লাল হলুদকে এক গোলে এগিয়ে দেয়। এর পরিবর্তে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ আক্রমণ সানাই নর্থিতির দল, কিন্তু প্রাবসুকান গিলের দক্ষতায় আটকে যায় তা। এবং এর সাথে লাল হলুদ দল এক গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের তেজ দেখা যায় নর্থইস্ট দলের, ক্রমশ আক্রমণ করতে থাকে তারা, কিন্তু প্রতিটি আক্রমণ রুদ্ধ করে লাল হলুদ রক্ষণভাগ। নর্থইস্ট দলের আক্রমণ ভাগের খেলোয়াড় আলাউদ্দিন একাধিক সুবর্ণ সুযোগ পায়। কিন্তু গোল পরিসংখ্যানের বদল ঘটাতে পারেন না তিনি, দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গল দলকে অধিক পরিমাণে গুরুত্ব দিতে দেখা যায় তাদের রক্ষণভাগের উপর, ম্যাচের ৭২ মিনিটের মাথায় নর্থইস্ট দলের খেলোয়াড় বেমামার কে লাল কার্ড দেখতে হয় করা টেকেলের দায়ে। ম্যাচের ৮৭ মিনিটে একই কারণে লাল কার্ড দেখতে হয় ইস্টবেঙ্গলের লালচুংনুঙ্গা কেও। ম্যাচের শেষে একই গোলসংখ্যান থাকে, এক গোলে ইমামী ইস্টবেঙ্গল এফসি জয়লাভ করে।