ইংল্যাণ্ডের ছন্দে ফিরে আসবার পর যেনো আবারও এক কামব্যাক স্টোরি দেখলো ফুটবল মহল । ইউরোর দ্বিতীয় ম্যাচে আজ মুখোমুখি ছিল স্পেন ও জর্জিয়া। রোনাল্ডোর পর্তুগালকে হারিয়ে স্পেনের সামনে বেশ আত্মবিশ্বাসী জর্জিয়ার নৌকা যেনো গন্তব্য হারালো। প্রথম ক্ষেত্রে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ৪-১ গোলে পরাস্ত হলো তারা। হারের কারণ হতেই পারে অনভিজ্ঞতা কিংবা মানসিকতার অভাব , তবে আজ আবারও মাঠের মাঝে উঠলো লামিন ঝড়। খেলার প্রথমার্ধে জর্জিয়া পুত্র কাভারকসেলিয়ার হাত ধরে একটি গোল এলেও শেষ রক্ষা হলনা তাদের ।
ম্যানচেস্টার সিটির লেজেন্ড খেলয়ার রডরির গোলে সমতায় ফেরে স্পেন, তারপর থেকেই যেনো পাগল ঘোড়া তারা । নিজেদের শ্রেষ্ঠতম খেলা টিকি টাকা এর জেরেই ৪ গোল দিলো তারা । খেলার দ্বিতীয়ার্ধে লামিন য়ামালের একটু লেফট উইংয়ের বাড়ানো বলে হেড দিলেন প্যারিসের মাঝ মাঠের বাজপাখি ফেবিয়ান রুইজ । সর্বকালের সেরা এবং তরুন খেলোয়ার হিসেবে সোনার অক্ষরে নাম লেখা থাকলো লামিনের। এরপরে আবারও উইংয়ের দাপট ভেঙে দিলো জর্জিয়ার রক্ষন, নিকো উইলিয়ামসের ডান পায়ের জোরালো শটে পরাস্ত জর্জিয়ার কিপার। ফের যেনো কিছুক্ষন থমকে গেলো খেলার গতি , যেনো ঝড় আসার পূর্ব সূচনা। আরবি লেইপজিগ তারকা দানি ওলমোর বা পায়ের ঘুরন্ত শটে জালে বল জড়িয়ে গেলো এবং রচিত হলো এক নয়া কামব্যাক স্টোরি। লুই দা ফন্তের দলের এই অনবদ্য খেলার পরেই মুখ খুললেন স্পেন বোর্ড বললেন এই খেলা বাঁচিয়ে রাখতে হবে, এমনকি লামিন ও নিকোকে নিয়েও বেশ আত্ম্য বিশ্বাসী তারা । লামিন ও নিকোর মাঝে যেনো হারিয়ে গেলো নাপোলি তারকা কাভারকসেলিয়া। প্রথম থেকেই আক্রমণের ভিত মজবুত বানাতে উদ্যোগী এই বছর ২০ এর বালক । কিন্তূ হয়তো পথচলা ছিল এই টুকুই। অবশেষে শেষ আটে পা রাখলো স্পেনের দল ।
স্পেন:- ৪ (রদরি,রুইজ ,নিকোউইলিয়ামস ,ওলমো)
জর্জিয়া:- ১ ( কাভারকসেলিয়া)