ব্রাজিলের ক্লাবের হয়ে ফুটবল খেলেছেন “মহাত্মা গান্ধী” ? রীতিমত উত্তাল সমাজ মাধ্যম, তবে কি ফিরে এলেন বাপু!

0

কলকাতা:– তবে কি কালের চাকা আবার ফিরল, ফিরে এলেন মহাত্মা গান্ধী? ভারতবর্ষ এবং ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাস এবং তার সঙ্গে মহাত্মা গান্ধীর নাম এগুলো যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িত ব্রিটিশদের অত্যাচার, ব্রিটিশদের শাসন ,শোষণ এইসবের বিরুদ্ধে লড়াই করে দেশকে স্বাধীনতা দান করেছেন যে এইসব বিপ্লবীরা তাদের মধ্যে অন্যতম নাম মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর। অসহযোগ আন্দোলন থেকে আইন অমান্য আন্দোলন সেখান থেকে সত্যাগ্রহ এইসবের মাঝেই মহাত্মা গান্ধীর পরিবেশ, কিন্তু এখন ফুটবল মাঠেও শোনা যাচ্ছে তার নাম। তবে কি এখনো বেঁচে রয়েছেন তিনি?

বর্তমানে ব্রাজিল অর্থাৎ বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দলই খেলছেন মহাত্মা গান্ধী তাও আবার এক দু বছর নয় গুনে গুনে ১৩ টা বছর। তের বছর ধরে বেশ খোস মেজাজেই ব্রাজিলের পরিবেশকে মানিয়ে নিয়ে ফুটবলের জাদু দেখাচ্ছেন মহাত্মা গান্ধী।

কিন্তু কি মহাত্মা গান্ধী তবে কি ভারতের এককালীন বিপ্লবী এখন ফুটবল খেলছে? না না এই মহাত্মা গান্ধী সেই মহাত্মা গান্ধী নয় এনার নাম মহাত্মা গান্ধী হেবারপিও মাটোস।

বর্তমানে ব্রাজিলের একজন দাপটে ফুটবলার খেলছেন ব্রাজিলেরই ত্রিনিদাদ ক্লাবের হয়ে। বয়স আনুমানিক ৩২ জন্ম ১৯৯২ সালে এই ব্রাজিলেই। কার্যত ২০১১ সাল থেকে ফুটবল জগতে তার জীবন শুরু করেন মহাত্মা গান্ধী ফলতো প্রায় ১৩ বছর ধরে ব্রাজিলের বিভিন্ন নাম করা ক্লাবের হয়ে ফুটবল খেলেছেন তিনি।

তার বাবা-মা গোয়ানিয়ায় বসবাস করেন এবং মহাত্মা গান্ধী এবং তার দূরদর্শী পথের ব্যাপক ভক্ত ছিলেন এবং শ্রদ্ধা হিসেবে তাদের পুত্রের নাম মহাত্মা গান্ধী রাখার সিদ্ধান্ত নেন। ব্রাজিলিয়ান বাপু, আমরা তাকে উল্লেখ করতে পারি, ব্রাজিলে একজন ডিফেন্ডার হিসেবে খেলে।

কেরিয়ারের শুরুটা তার মোটেও ভালো ছিল না ক্লাবে জায়গা করলেও সব সময় থাকতেন দলের রিজার্ভ বেঞ্চে চলতে থাকতে থাকতে তিন বছর পেরিয়ে যায় এবং তারপর তার জীবনের মোড় ঘুরে যায়। ২০১৩ সাল থেকে রীতিমতো মাঠ কাপাতে শুরু করেন তিনি।

বর্তমানে খেলছেন ব্রাজিলের ত্রিনিদাদ অ্যাটলেটিকো ক্লাবের হয়ে তবে যারা ফুটবল প্রেমী মানুষ কিংবা ফুটবল ছাড়া বাঁচতে পারেন না সেইসব মানুষদের কাছে এই নামটি।

তবে এই ধরনের নাম জনতাদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করলেও এই নামগুলোর সাথে স্বাধীনতা সংগ্রামী মহাত্মা গান্ধীর কোন মিল নেই । তবে এই ধরনের নাম রীতিমতো ভারতীয় ফুটবল ভারতীয় জনতা দের মনে আলোড়ন সৃষ্টি করে দিয়েছে।