ইউরোতে উলাটপুরান! অতি শক্তিশালী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ছিল ডার্ক হর্স স্লোভাকিয়া। কিন্তূ সেখানেই বিপত্তি, কার্যত ইউরো থেকে ছিটকে যাচ্ছিলেন হ্যারি কেনরা। তারপর যেনো এক ফিরে আসার গল্প বুনলেন গ্যারেথ সাউথগেট। কিছু দুর্দান্ত চেঞ্জ এবং মোড় ঘুরে গেলো খেলার। নিয়ে নিশ্চিন্ত ছিলেন স্লোভাকিয়ার সমর্থকরা। ইংল্যান্ডের দল দেখলে মনে হয় যেন নক্ষত্রের দল , সেখানে কিছুর তেমন অভাব নেই। কিন্তু আজ ছিল তাদের কঠিন পরীক্ষার দিন , বারংবার প্রশ্ন উঠেছে তাদের খেলার ওপর । ফুটবলপ্রেমীরা ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করেছিলেন, এবারের ইউরো কাপে যাদের খেলা সবচেয়ে বেশি একঘেয়ে লাগছে তারা হল ইংল্যান্ড। রবিবার ছিল ইংল্যান্ডের সেই বদনাম ঘোচানোর পালা। রবিবার রাতে গেলসেনকিরখেনের এরিনা আউফশালকেতে আয়োজিত ম্যাচে সেই বদনাম ঘোচালো ইংল্যান্ড।
প্রথম থেকেই নিজের ছন্দে আক্রমণ করছিল স্লোভাকিয়ার আক্রমণ ভাগ। ম্যাচের ৬ মিনিটের মাথায় প্রথম সূযোগ পায় তারা , কিন্তু লুকাস হারসালিনের সেই শট গোলপোস্টের বামদিক ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। তবে আস্তে আস্তে আর তীব্র আক্রমণ শানাতে থাকে লুকাস হারলিনসন এবং স্লোভাকিয়ার রাইট উইং কমান্ডার ” স্ক্রাজ” । আর এখান থেকেই ম্যাচের ২৫ মিনিটে গোল পেয়ে যায় স্লোভাকিয়া। ডান দিকে বল পেয়ে যান স্ট্রেলেক, তিনি ডি বক্সের মধ্যে ঢুকে এসে বল বাড়িয়ে দেন ইভান শ্রানৎজকে। শ্রানৎজ এর ভেলকিতে রীতিমত উত্তাল গোলকিপার পিকফোর্ড। গোলরক্ষকের পাস থেকে বল কাটিয়ে ইংল্যান্ডের জালে জড়িয়ে দেন তিনি । এই নিয়ে এবারের ইউরোতে ৩টে গোল করে যুগ্ম সর্বাধিক গোলদাতা হলেন শ্রানৎজ। স্লোভাকিয়া ১-০ গোলে এগিয়ে যায়। মাঝে মনে চিন্তা আসে হয়তো আবারও পুরনো পদ্ধতিতেই বাইরে হয়ে যাবে ইংল্যাণ্ড তবে সেসব যেনো অতীত । রিয়াল মাদ্রিদ এর স্বপ্নের রাজকুমার জুড বেলিংহম এর একটি ওভারহেড কিকের জেরে সমতা ফেরায় ইংল্যাণ্ড। এরপরে গেল ৩০ মিনিটের অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের ঠিক প্রথম মুহূর্তে জয়সূচক গোল করলেন হ্যারি কেন। ২০২০-এর ইউরো রানার্স আপ শেষ পর্যন্ত যেতে পারল কোয়ার্টার ফাইনালে।
নাটকীয় পরিবর্তন ইউরোর রাতে ।
ইংল্যাণ্ড: ২ (জুড বেলিংহাম, হ্যারি কেন)
স্লোভাকিয়া: ১ (ইভান শ্রানৎজ)