কলকাতা: আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তাদের সঙ্গে আলোচনাতেও বসেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা। এ মাসের মধ্যেই যাবতীয় নিয়ম প্রকাশ্যে আসার কথা। বোর্ডের তরফে সরকারি ঘোষণা না হলেও, রিটেনশন পলিসি নিয়ে নানা সম্ভাবনা বেরিয়ে এল।
আইপিএল ২০২৫-এর মেগা নিলামের আগে প্লেয়ার রিটেনশনের নিয়ম নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে। বেশিরভাগ ফ্র্যাঞ্চাইজি চাইছিল তাদের সেট টিম যাতে না ভাঙে, তাই যত বেশি সম্ভব ক্রিকেটারকে ধরে রাখতে। আবার একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি নিলাম থেকে দল ঢেলে সাজানোর পক্ষে রায় দেয়। তারা যত কম সম্ভব ক্রিকেটার ধরে রাখার পক্ষপাতী ছিল। 5গতবার নিলামের আগে সরাসরি চারজন করে ক্রিকেটারকে ধরে রাখার নিয়ম বেঁধে দিয়েছিল বিসিসিআই। তবে এবার সেই সংখ্যাটা ৭ পর্যন্ত করার দাবি তোলে একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি। ভারতীয় বোর্ড অবশ্য সেই দাবিতে কান দিচ্ছে না। বরং নিলামের আগে রিটেনশনে ভারসাম্য রাখার দিকেই নজর বিসিসিআইয়ের।
যদিও বোর্ড এক্ষেত্রে প্লেয়ার রিটেনশনে যে সংখ্যা বাঁধতে চলেছে, তা নিতান্ত কম নয় মোটেও। গতবারের তুলনায় বেশি ক্রিকেটারকে ধরে রাখার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর, বিসিসিআই ৫ জন ক্রিকেটারকে ধরা রাখার অনুমতি দিচ্ছে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিকে। সেই সঙ্গে ফেরানো হচ্ছে রাইট টু ম্যাচ কার্ড। অর্থাৎ, নিলামের আসর থেকেও নিজেদের পুরনো ক্রিকেটারকে ধরে রাখতে পারবে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা।প্রতিটি টিমের ক্ষেত্রে ১১৫-১২০ কোটি টাকা খরচের অনুমতি দেওয়া হতে পারে। ২০২২ সালের মেগা অকশনে এই অঙ্কটা ছিল ৯০ কোটি। ২০১৭ সালের তুলনায় ১০ কোটি বাড়ানো হয়েছিল। এ বার সে কারণেই অনুমান করা হচ্ছে, ১১৫-১২০ কোটির মধ্যে থাকতে পারে।