ক্রিকেটের নন্দনকাননে ‘নো এন্ট্রি’ হর্ষা-ডুলের জন্য!

0

২৩শে এপ্রিল, বুধবার, কলকাতাঃ কলকাতা-গুজরাট ম্যাচের আগে ক্রিকেটের নন্দনকাননের পিচ নিয়ে কড়া মন্তব্য। হর্ষ ভোগলে এবং সাইমন ডুলকে ইডেনে কমেন্টারি করতে নিষেধাজ্ঞা সিএবি-র। সোমবার তাদের ইডেন থেকে ব্যান করার বিষয়ে বিসিসিআই-কে চিঠি পাঠালো ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল। নিষেধাজ্ঞায় সহমত পোষন বিসিসআইয়ের।

গত সোমবার ইডেনে কেকেআর-কে ৩৯ রানের ব্যবধানে দুর্দান্ত ভাবে পরাজিত করলো গুজরাট টাইটেন্স। শুভমান গিলের ৯০ রানের ঝোড়ো ইনিং করলো ভৈভব, হর্ষিত, বরুনদের নাজেহাল। এই মরশুমে এটি নাইটসদের ৫ম হার। প্রথম ৮ টি ম্যাচ খেলে জয়ের সংখ্যা মাত্র ৩। ঘরের মাঠেও ৪টি ম্যাচ খেলে জয় শুধুমাত্র হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধে। বাকি প্রতিটি ম্যাচেই বোলিংয়ে একেবারেই সুবিধা গড়ে তুলতে পারেনি কেকেআর বোলাররা।

২২শে মার্চ বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ইডেনে উদ্বোধনী ম্যাচে হারের মুখ দেখেই অধিনায়ক রাহানের মত ছিলো স্পিনের ক্ষেত্রে পিচ খুব একটা সহায়তা তাদের করছেনা। তারপর লখনৌ-র ব্যাটারদের সামনে আবারো বোলিংয়ে ব্যার্থ হয় তারা। যার জেড়ে ইডেনে কলকাতা-গুজরাট ম্যাচের আগে একটি শো তে ইডেনের পিচ এবং কিউরেটরের সম্পর্কে স্টার স্পোর্টসের কমেনটেটার হর্ষ ভোগলের মন্তব্য সিএবি-তে শোড়গোল শুরু করে দিয়েছে। ভোগলে বলেছেন, “আমি মনে করি আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টে হোম অ্যাডভান্টেজ একেবারেই বৈধ। এতে টুর্নামেন্টের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে কারণ তখন বাইরে জেতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে”। ভোগলের মন্তব্যের সমর্থনে প্রাক্তন কিউই পেসার সাইমন ডুল বলেন, “ঘরের দল স্টেডিয়ামের ফি দিচ্ছে, আইপিএলে যা ঘটছে তার জন্য তারা অর্থ দিচ্ছে। কিন্তু যদি ঘরের দল কী চায় সেদিকে মনোযোগ না দেওয়া হয়, তাহলে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ঘরের মাঠ বদলানো উচিত”। তাদের বক্তব্য এটাই যে সিএবি কেকেআর-এর জন্য জয়ের অনুকুল পিচ গড়ে তাদের সহায়তা করছেনা। যদিও সিএবি কিউরেটর সুজন মুখার্জী এই বিষয়ে বলেন, “উইকেট প্রস্তুতির ক্ষেত্রে ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং খেলোয়াড়দের কোনও ভূমিকা রাখার নির্দেশ দেয়নি বিসিসিআই”।

ভোগলে এবং ডুলের এই মন্তব্যের পর সোমবার কলকাতার ম্যাচে তাদের দুজনকেই কমেন্ট্রি বক্সে দেখা যায়নি। সেই বিষয়ে ইন্টারনেটে বিতর্ক শুরু হলেও ভোগলে তা নিয়ে কোনো তোয়াক্কা না করে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “আমার যে ম্যাচগুলো করার কথা ছিল, সেগুলোর তালিকায় এটি ছিল না! কলকাতায় দুটি খেলার জন্য আমাকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। আমি প্রথম ম্যাচে সেখানে ছিলাম এবং পরিবারের অসুস্থতার কারণে আমি দ্বিতীয় ম্যাচে থাকতে পারিনি।“ দুই কমেনটেটারের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে বিসিসিআই সহমত জানালেও সেই বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে তারা আসেনি।