ওয়ার্জাবেলের গোলে ইউরো জয় স্পেনের, অভিশাপ কাটলো না হ্যারি কেনের

0
goal of mikel oyarzabal (sportslight media)

কোলকাতা: সুবর্ণ যুগের সূচনা হলো স্পেনের । ইউরো জয় করে ইতিহাস গড়লেন কোচ দি লা ফুন্টার দল। ইউরোর ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ইউরোপের দুই শক্তিধর দল, একদিকে হ্যারি কেনের ইংল্যান্ড এবং বিপক্ষে তরুণ তুর্কি দের নিয়ে তৈরি স্পেন।
কার্যত গ্যারেথ সাউথগেটের দলকে ফাইনালে উড়িয়ে দিলো স্পেন। ২-১ গোলের ব্যবধানে জয়ী লামিন – নিকো।

খেলার প্রথমার্ধ থেকে বেশ সুন্দর ছিমছাম ভাবে খেলা শুরু করেছিল দুই দল, তবে আক্রমণ সেভাবে করতে দেখা যায়নি। সঠিক সময় নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে বল দখলে রেখেছিল গতবারের ইউরোর ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড। কিন্তূ আস্তে আস্তে খেলার মোড় ঘোড়াতে শুরু করে স্পেন।
খেলার প্রথম অর্ধে অর্থাৎ ২৭ মিনিট 35 সেকেন্ডের মাথায় মিডফিল্ডার ফাবিয়ান রুইজের করার শর্ট ইংল্যান্ডের বার পোস্ট ঘেঁষে চলে যায়। খেলায় প্রথম অর্ধেক তেমন খুঁজে পাওয়া যায়নি ইংল্যান্ডের হ্যারিকেন জুড বেলিংহাম এবং স্পেনের তারকা ফুটবলার লামিন য়ামালকে।

দ্বিতীয়ার্ধ থেকেই খেলায় অন্য রূপ আনে স্পেনের মাঝমাঠ। ৪৬ মিনিটের মাথায় কার্বাহলের বানানো বলে, লামিন জাদুতে নিকো উইলিয়ামসের করার শটে বল জালে জড়িয়ে যায় ইংল্যান্ডের গোলে এক শূন্য গোলে এগিয়ে যায় স্পেন।
এরপরে আরো কয়েকটি আক্রমণ আসলেও তেমন লাভের লাভ হয়নি স্পেনের কাছে। এছাড়াও ছিল বেশ কয়েকটি ফিনিশিং এর ভুল । মোরাতার কাছে প্রায় তিনটি চান্স এলেও সেটিকে গোলে রূপান্তর করতে পারেনি স্পেনের স্ট্রাইকার। খেলার ৭৩ মিনিটের মাথায় পামারের গোলে সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড।
কিন্তু তারপরেও যেন ইংল্যান্ডকে এক হাত নেয় স্পেনের জাতীয় দল। খেলার একদম অন্তিম মুহূর্তে ৮৬ মিনিটের মাথায় মিকেল ওয়ারজাবালের গোলে ইংল্যান্ডের হাত থেকে জয় ছিনিয়ে নেয়াস্পেনের জাতীয় দল। এভাবেই আরো একবার ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারিকেনের অভিশাপ চিরন্তন থেকে গেল।।