কলকাতা:- ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে, ভারতের অন্যতম ফুটবল প্রতিযোগিতা আই লিগ। ২০০৭ সাল থেকে বর্তমানে ২০২৪ অব্দি প্রায় ১৭ বার অনুষ্ঠিত হয়েছে ফুটবল প্রতিযোগিতা। এই সংস্করণে শহর কলকাতার কোন দল না খেললেও কল্যাণী স্টেডিয়াম থেকে এ বছরের আই লিগের কয়েকটি ম্যাচ খেলবে উত্তরপ্রদেশের দল ইন্টার কাশি । ফলত নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্পোর্টিং ক্লাব বেঙ্গালুরু কে এক শূন্য গোলের ব্যবধানে পরাস্ত করে হাবাসের দল।
তবে শুধু ইন্টার কাশি নয় এই বছরের আই লিগে রয়েছে নতুন নতুন চমক, পুরনো ক্লাব আইজল এফসি থেকে শুরু করে রয়েছে অনেক নতুন ক্লাব। আসুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ক্লাবগুলির অবস্থান-
১. আইজল এফসি:- দেশের পাহাড়ের কোল থেকে আসা দল এটি, বহু বছর ধরে আইলিগে নিজেদের প্রতিপত্তি জাহির করেছে মিজোরামেরিক ক্লাব। ইউরোপিয়ান কোচ ববি স্টোজাকি উদ্যোগে বেশ প্রতিযোগিতা মূলক দল নির্মাণ করেছে তারা। দলের সবথেকে বড় পাখির চোখ তাদের ভারতীয় বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়েরা, দলে জায়গা পাইনি কোন বিদেশি খেলোয়াড়। ৬ কোটি ২০ লক্ষ টাকার মার্কেট ভ্যালু সম্পন্ন এ ক্লাবটি প্রথম ম্যাচে ডেমপো এফসের বিরুদ্ধে
পয়েন্ট নষ্ট করলেও তাদের নজর পরবর্তী প্রতিপক্ষ ব্যঙ্গালুর দিকে।
২. দিল্লি এফসি:- অন্যতম কঠিন দলগুলির মধ্যে যাদের নাম সবার উপরে ঠিক তাদের মধ্যে বরাবর থাকবে দিল্লি এফসির। 7 জন বিদেশি খেলোয়াড় সহ একাধিক ভারতীয় খেলোয়াড়কে নিয়ে দল সাজিয়েছে তারা । যুব কোচ ইন লো এর তত্ত্বাবধানে রীতিমত চোখে পড়বার মতো দল গুছিয়েছে তারা। দলে ব্রাজিলিয়ান প্রতিভা থেকে শুরু করে রয়েছে আফ্রিক ান শক্তি।
⚽ 𝐓𝐇𝐄 𝐖𝐀𝐈𝐓 𝐈𝐒 𝐎𝐕𝐄𝐑! I-League is BACK again. 🏆✨
Catch every epic moment LIVE on 𝐒𝐒𝐄𝐍. Download the app now: https://t.co/VXpeOXDPd6 – Android https://t.co/oeNC7kaepX – iOS#ILeague #SSEN #ILeagueOnSSEN #AllThingsSports #IndianFootball pic.twitter.com/XBvogVEzke
— SSEN (@ssen_co) November 22, 2024
৩. ইন্টার কাশি:- ” কথায় কথা বাড়ে” এই প্রবাদের সঠিকভাবে যদি বিশ্লেষণ করা যায় তবে ফুটবল এবং সমর্থকদের দৃষ্টিভঙ্গিতে একটি অন্যতম দল হয়ে উঠে আসবে উত্তর প্রদেশের ইন্টার কাশি। উত্তর প্রদেশ যেখানে রাজনৈতিক চাপানু তোর চলে সর্বদা যেখানে তেমন খেলাধুলা এবং তার ঐতিহ্য নিয়ে মাথা ব্যথা নেই সেখানেই কিনা গড়ে উঠলো একটি বড় বিনিয়োগকারী ক্লাব। তবে বর্তমানে তারা খেলবে কলকাতার কল্যাণী স্টেডিয়াম থেকে। ইতিমধ্যে নিজেদের প্রথম ব্যাচে ব্যাঙ্গালুরু কে ১-০ গোলে পরাস্ত করেছে হাবাসের দল। হাবাসের মত অভিজ্ঞ জোরাচর্যের সঙ্গে অধিরায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে নারায়ন দাস, সার্থক গলুই ,সুমিত পাসি এছাড়াও স্প্যানিশ তারকা পেরেজ থেকে প্রাক্তন মহামেডান তারকা নিকোলা কে নিয়ে গড়েছে দল। ইন্টার কাশির সবথেকে বড় সুবিধা অভিজ্ঞতা এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিবার সংমিশ্রণ। দলের অন্যতম মুখ প্রাক্তন মোহনবাগান মাঝমাঠ খেলোয়াড় জনি কাকু।
৪. চার্চিল ব্রাদার্স:- আই লিগ এবং চার্চিল ব্রাদার্স এই দুটি নাম যেন একে অপরের সঙ্গে সব সময় যুক্ত। দক্ষিণ ভারতের সুন্দর নগরী গোয়া , আর সেই গোয়ায় ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ভারতের অন্যতম সেরা ক্লাব গুলির মধ্যে একটি চার্চিল ব্রাদার্স। এই মৌসুমে নিজেদেরই একটিও তবে ভারতীয় অভিজ্ঞ কোচ ম্যাথিউস কষ্টার তত্ত্বাবধানে ধারে বাড়ে নজর কারছে দল। জুয়ান মিরা থেকে ভারতীয় প্রতিভা সংমিশ্রনেই তৈরি এই ক্লাবটি।
৫. রাজস্থান ইউনাইটেড:- রাজস্থানী ইউনাইটেডের এবার বাঙালি কোচ, পুষ্পেন্দু কুন্ডু হাত ধরে চলতি মরশুমে চলেছে পশ্চিমের এই দল। 6 জন বিদেশি সহ একাধিক ভারতীয় খেলোয়াড় দের সংমিশ্রণেই গঠিত ঐ ক্লাব কি কোনভাবেই ছোট করে দেখা উচিত নয়। একাধারে যেমন রয়েছে অভিজ্ঞতা তেমন কিছু নতুন মুখ এই দলে দেখা যাচ্ছে।
অন্যান্য দল:- এছাড়াও রিয়াল কাশ্মীর , গোকুলাম কেরালা, দেম্প সহ ডেকান এফসি এবং নামাধ্রী এর মতন দলের কথা অনস্বীকার্য। একের পর এক রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ উপহার দিয়েছে গোকুলম কেরল এবং রিয়াল কাশ্মীর। তাদেরকে নিয়েই উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছে।
এই বছরের আই লিগ মরশুমে কলকাতা এর ক্লাব না থাকলেও এই ১২ ক্লাব মিলে রীতিমতো জমে যাবে প্রতিযোগিতা। লক্ষ্য একটাই পরবর্তী বছরে আই এস এল এর মধ্যে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করা।