ইন্টার কাশী কে হারিয়ে সেমি ফাইনালে ছাংতেরা

0

২৮ শে এপ্রিল কলকাতা – সুপার কাপের তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে রবিবার বিকেলে, ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে আয়োজিত হয়েছিল ইন্টার কাশী বনাম মুম্বই সিটি এফসি

আর এই ম্যাচেই ইন্টার কাশীর বিরুদ্ধে জয় মুম্বই সিটি এফসির। ১-০ গোলে জিতে সেমিফাইনালে ছাংতেরা।

এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই লড়াই চোখে পড়ার মতো। একদিকে ইন্টার কাশীর ব্রাইস থেকে মারিও আক্রমণ তুলে আনতে থাকে এবং অপরদিকে মুম্বইয়ের ছাংতে থেকে হিতেশ শর্মারা ক্রোমা গত আক্রমণ করতে থাকে । কখনও মাঝমাঠ ছিল কাশীর দখলে তো কখনও আবার মুম্বইয়ের দখলে।

সবথেকে বড় বিষয়, অরিত্র, সার্থক এবং ডেভিডরা ইন্টার কাশীর রক্ষণভাগ বেশ বুদ্ধি করেই সামলাচ্ছিল । কারণ, দুই উইং ব্যবহার করে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করছিল মুম্বই। বিশেষ করে মুম্বই সিটি এফসি ফরোয়ার্ড নৌফল এবং নিকোলাসের কথা বলতে হবে । বারংবার তারা চাপ বাড়াতে থাকে কাশীর ডি-বক্সে। কিন্তু গোল আসছিল না কিছুতেই ।

আর ঠিক উল্টোদিকে, বারবার কাউন্টার অ্যাটাকে উঠে আসছিলেন ইন্টার কাশীর ফুটবলাররা। বিশেষত, এই ম্যাচেও বেশ ভালো ফুটবল উপহার দেন এডমুন্ড এবং প্রশান্থ। একাধিক সুযোগ তৈরির চেষ্টা করেন তারা। তবে মুম্বই ডিফেন্ডার মেহতাব সিং এবং ফ্র্যাঙ্কলিনের কথা বলতেই হয়।

ইন্টার কাশীর বেশিরভাগ আক্রমণই তারা রুখে দেন। দুই দলেরই একাধিক শট বিরুদ্ধের পায়ের জটলায় আটকে যায়, নয়ত গোলপোস্টের উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। কিন্তু এদিন এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটে কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে । ভারতীয় ফুটবলে এই ঘটনা দেখে সকলেই হতবাক। ম্যাচের মাঝে হঠাৎই আক্রান্ত রেফারি। মৌমাছির তাড়ায় বিপাকে পড়েন রেফারি। শুধু রেফারিরাই নন, স্টেডিয়ামে ম্যাচ দেখতে আসা সমর্থকরাও এই মৌমাছির তাড়ায় এদিক-ওদিক দৌড়াদোড়ি শুরু করে। ম্যাচের কথা বলতে গেলে, মুম্বই-কাশীর প্রথমার্থ গোলশূন্য ছিল। ম্যাচের ৭১ মিনিটে জয়সূচক গোল লালরিনজুয়ালা ছাংতে। যার ফলে ১-০ ব্যবধানে জয় মুম্বই সিটির। এই জয়ের ফলে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল মুম্বই। তবে অনেকেই বলাবলি করছেন, আজকের ম্যাচের মূল অংশ রেফারিকে আক্রমণরা মৌমাছিরা।