” সোনা জেতার কথা আর রসগোল্লাটা বুঝেছি ” শ্রীভূমিতে মনু ভাকের যেন বঙ্গকন্যা !

0

কলকাতা: দুবাই থেকে দেশে ফিরেছেন গভীর রাতে। সকালে গিয়ে হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। আর তারপরই মনু ভাকের কলকাতায়।

 

মনু ভাকেরের ঝটিকা সফরে তাঁর সঙ্গে এসেছে মা সুমেধা ভাকের। এদিন তাহাদের কথা অনুষ্ঠানে যোগদানের পাশাপাশি বারুইপুরে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুজোতেও তাঁর যাওয়ার কথা রয়েছে। মনু ও তাঁর মা শ্রীভূমিতে মাতৃদর্শন করে মূল মঞ্চে যান।

 

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাড়ে ৭ গ্রাম ওজনের বিশ্ব বাংলা পেনডেন্ট চেন-সহ উপহার পাঠিয়ে মন্ত্রী সুজিত বসুর মাধ্যমে মনুকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বোস গোল্ড প্লেটেড রুপোর বন্দুকের স্মারক উপহার দেন প্যারিস অলিম্পিক্সে জোড়া ব্রোঞ্জজয়ী মনুকে।সুজিত বলেন, মনু সোনার মেয়ে। তাঁর কাছ থেকে পরের অলিম্পিক্সে আমরা সোনা প্রত্যাশা করছি। পিভি সিন্ধুকেও বলেছিলেন মায়ের আশীর্বাদ নিতে। পরবর্তীকালে সিন্ধুও সাফল্য পেয়েছেন। আমরা প্রার্থনা করি, মায়ের আশীর্বাদে মনুও দেশের জন্য সোনা জিতবেন। উত্তরীয়, স্মারকের সঙ্গে রসগোল্লার হাঁড়ি দেখে মনুর মুখে দেখা যায় চওড়া হাসি।

 

মনু ভাকের বলেন, দুর্গাপুজোয় সকলকে হার্দিক শুভকামনা। এই প্রথম এখানে এসে ঠাকুর দেখলাম, এই শাড়ি পরে। বাংলা বেশি বুঝি না। তবে পরের অলিম্পিক্সে সোনা জেতার কথা আর রসগোল্লাটা বুঝেছি। করতালিতে ফেটে পড়ে অনুষ্ঠান চত্ত্বর।

 

মনুর কথায়, আমরা অনেকেই বড় বড় স্বপ্ন দেখি। আইএএস, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, অধ্যাপক, এমনকী ক্রীড়াক্ষেত্রে সফল হতে চান অনেকে। কিন্তু একটা সময় সব স্বপ্ন পাশে চলে যায়। মোবাইল, সোশ্যাল মিডিয়া লক্ষ্যচ্যূত হওয়ার ক্ষেত্রে নানা প্রভাব ফেলে। একটাই কথা বলব, স্বপ্ন পূরণ আগে করো। পরে সব কিছু করার সময় মিলবে।

 

মনু আরও বলেন, আমার তো ২-৩ দিন অন্তর একেকটি স্বপ্ন মাথায় আসতো। একটা সময় ভাবতাম, ঠিক কী করবো। নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলি, যেটা করবে সেটাই মন দিয়ে করো যাতে বাবা-মাকে গর্বিত করা যায়। লাইফ বানানোর এটাই সময়। পড়াশোনা, খেলাধুলো- যার যা স্বপ্ন সেটাই পূরণ করার লক্ষ্যে এগিয়ে  যাও।