‘রাজাকার’দের মাটিতে টেস্ট জিতে ইতিহাস ‘স্বাধীন’ বাংলাদেশের ! বাংলাদেশের কাছে প্রথমবার টেস্ট হারল পাকিস্থান

0

রাওয়ালপিন্ডি: গন্ধ পেয়ে গিয়েছিল আগেই। মুশফিকুর রহিমের ১৯১ রানের ম্যারাথন ইনিংসের সৌজন্যে পাকিস্তানের মাটিতেই পাকিস্তানকে পেড়ে ফেলার স্বপ্ন বোনা শুরু হয়ে যায় শনিবার-ই। আর ইতিহাস রবিবারই। পাকিস্তানের কার্যত শুইয়ে হারাল বাংলাদেশ।

 

চতুর্থ দিন ১১৭ রানে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় পাকিস্তান দিন শেষ করে ২৩/১ অবস্থায়। সায়ুম আয়ুব ফিরে যাওয়ার পর ক্রিজে ব্যাট করছিলেন আব্দুল্লা শফিক এবং ক্যাপ্টেন শান মাসুদ। তখনও ৯৪ রানে পিছিয়ে ছিল।

 

রবিবার বাংলাদেশের লিড পেরোনোর আগেই পাকিস্তান ধসে গিয়েছিল ৮ উইকেট। তারপর পাকিস্তান অলআউট হয়ে যায় বাড়তি ৩০ রান যোগ করার আগেই। পাক ক্রিকেটারদের দ্বিতীয় ইনিংস স্থায়ী হয় মাত্র ৫৫.৫ ওভার। অলআউট মাত্র ১৪৬ রানে। সেই ৩০ রান বাংলাদেশ তৃতীয় সেশনে তুলে দেয় মাত্র ৬.৩ ওভারে। দুই ওপেনার জাকির হাসান (১৫) এবং সাদমান ইসলাম (৯) বিনা বাধায় দলকে জয়ের রানে পৌঁছে দেন। রাওয়ালপিন্ডিতে ১০ উইকেটে জয় পেয়ে সিরিজে অপ্রত্যাশিতভাবে বাংলাদেশ এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে।

 

প্রথম ইনিংসের নিরিখে ১১৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। তবে শাকিব ও মেহেদির ঘূর্ণির সামনে দ্বিতীয় ইনিংসে আত্মসমর্পণ করেন বাবররা। পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয় মাত্র ১৪৬ রানে। সুতরাং, জয়ের জন্য শেষ ইনিংসে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৩০ রানের।

 

দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের হয়ে ব্যাট হাতে একা লড়াই চালান মহম্মদ রিজওয়ান। তিনি ৫১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ৩৭ রান করেন আবদুল্লা শফিক। ২২ রান করেন বাবর আজম। বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪টি উইকেট নেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৩টি উইকেট নেন শাকিব আল হাসান।

 

বাংলাদেশ শেষ ইনিংসে কোনও উইকেট না হারিয়েই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৩০ রান সংগ্রহ করে নে। সেই সুবাদে টেস্টে ইতিহাস গড়েন নাজমুল হোসেন শান্তরা। ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন জাকির হাসান। ৯ রানে নট-আউট থাকেন শাদমান ইসলাম।

 

২০২১-এর ফেব্রুয়ারি থেকে ঘরের মাঠে পাকিস্তান একটাও টেস্ট জেতেনি। চাটতে হারের পাশাপাশি পাঁচ ম্যাচ ড্র করেছিল পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয়ে ফেরার মঞ্চ তৈরি ছিল। তবে সেই অপেক্ষা আরও বাড়ল বাবরদের।