ঈশ্বরনের দুরন্ত সেঞ্চুরি, তবে বাগে পেয়েও হারানো গেল না উত্তর প্রদেশকে ! তাই বাংলাকে সন্তুষ্ট থাকতে হলো ৩ পয়েন্টে !

0

প্রথম ইনিংসে মূল্যবান লিড সুনিশ্চিত করায় তিন পয়েন্ট ঘরে তুলতে পারল বাংলা। বাংলার ৩১১ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে উত্তরপ্রদেশ করেছিল ২৯২। তৃতীয় দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলার স্কোর ছিল ৩৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৯। সুদীপ এদিন ৯টি চার দিয়ে সাজানো ১৫১ বলে ব্যক্তিগত ৯৩ রানে সাজঘরে ফেরেন।

 

২১২ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙে। প্রথম ইনিংসে শতরানকারী সুদীপ এদিন সাত রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করলেও ম্যাচের সেরার পুরস্কারটি আদায় করে নিলেন। অভিমন্যু ঈশ্বরণ ১৭২ বলে ১২৭ রানে অপরাজিত থাকেন। সুদীপ কুমার ঘরামি ২০, অভিষেক পোড়েল ০ রানে আউট হন। ঋত্ত্বিক চট্টোপাধ্যায় ৬ রানে অপরাজিত থাকেন।

 

মেঘলা আবহাওয়া থাকলেও উত্তরপ্রদেশের বোলাররা বাংলার ব্যাটারদের উপর প্রভাব বিস্তার করতে ব্যর্থ। আলোর অভাবে একটা সময় শুধু স্পিনারদের দিয়ে বল করাতে হচ্ছিল। লাঞ্চের আগে তিন উইকেটে ২৫৪ তুলে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয় বাংলা। বিপ্রাজ নিগম নেন ২ উইকেট।

 

উত্তরপ্রদেশের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে যথাক্রমে ৯, ৩১, ৪৭ ও ৭৯ রানে। সতীর্থরা কার্যত আয়ারাম-গয়ারাম হলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে দুরন্ত শতরান করেন তিনে নামা প্রিয়ম গর্গ। দুই দলের সম্মতিতে ম্যাচ ড্রয়ের সময় উত্তরপ্রদেশের স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ১৬২।

 

এর মধ্যে ৮টি চার ও পাঁচটি ছয়ের সাহায্যে প্রিয়ম গর্গ একাই ১৫৭ বলে ১০৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। স্বস্তিক চিকারার ১২ ছাড়া আর কেউ দুই অঙ্কের ঘরেই পৌঁছতে পারেননি। মুকেশ কুমার ও মহম্মদ কাইফ ২টি করে উইকেট দখল করেছেন। শাহবাজ আহমেদ ও সুরজ সিন্ধু জয়সওয়ালের ঝুলিতে ১টি করে উইকেট।

 

এলিট গ্রুপ সি-তে বাংলা প্রথম ম্য়াচের পর রয়েছে তৃতীয় স্থানে। বাংলার ১ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট। গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে হরিয়ানা, বিহারকে ইনিংস ও ৪৩ রানে হারানোর সুবাদে। ১ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে কেরল। কেরল পাঞ্জাবকে হারিয়েছে ৮ উইকেটে। বাংলার পরবর্তী ম্যাচ ১৮ অক্টোবর থেকে ইডেনে বিহারের বিরুদ্ধে। তারপর ইডেনেই কেরলের বিরুদ্ধে বাংলা নামবে ২৬ অক্টোবর।