
চিন্নাস্বামী : সব গল্পের শেষ যে রূপকথার মত হয় না সেটার এই ম্যাচ প্রত্যক্ষ উদাহরন । এটাই মনে হয় বড় পর্দা আর রিয়েল লাইফ এর পার্থক্য !
নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে হোঁচট খেল ভারত। বেঙ্গালুরু টেস্টে ৮ উইকেটে হারতে হলো। শেষ দিনে নিউ জ়িল্যান্ডের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১০৭ রান। এই কম রান আটকানোর জন্য লড়াইও করেছিলেন টিম ইন্ডিয়ার বোলাররা। বিশেষ করে জসপ্রীত বুমরা ও মহম্মদ সিরাজকে দিয়ে যেই শুরুটা আশা করেছিলেন রোহিত শর্মা সেটা হয়নি। টার্গেট কম থাকায় কিউয়ি ব্যাটাররা ঝুঁকি নেননি, ফলে উইকেটে টিকে থেকে খেলেন তাঁরা।
নিউ জ়িল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস চতুর্থ দিনেই শুরু হয়েছিল। কিন্তু কম আলো থাকার জন্য সেটা দ্রুত শেষ করতে হয়। ফলে চতুর্থ দিনে একটিও রান করতে পারেনি নিউ জ়িল্যান্ড। শেষ দিনে তারা ১০৭ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা খারাপ করে। বুমরার বলে LBW হয়ে ফেরেন টম লাথাম। তিনি একটিও রান করতে পারেননি।
আসলে দ্বিতীয় ইনিংস ভারতের পুঁজি ছিল মোটে ১০৬ রান। সেই রান নিয়ে যে কিইয়িদের বিশেষ বেগ দেওয়া যাবে না, সেটা প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু তাও পন্থ-সরফরাজদের দেখানো স্বপ্নে নতুন বুনন দিয়েছিলেন জসপ্রীত বুমরাহ। পঞ্চম দিনের দ্বিতীয় বলেই নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম লেথামের উইকেট তুলে নিয়ে। মাথার উপর মেঘ, হাতে নতুন বল, দুই ভারতীয় পেসার প্রথম কয়েকটি ওভার যেন আগুন ঝরালেন। কিন্তু ভাগ্যদেবতা সহায় ছিল না। একাধিকবার ‘একটুর জন্য’ ব্যাটের কানা ছোঁয়াল না বল, আবার কখনও ‘একটুর জন্য’ মিস হয়ে গেল স্ট্যাম্প। আসলে গোটা টেস্টেই এমন বহু ‘একটুর জন্য’ মুহূর্ত ভারতের বিপক্ষে গিয়েছে। নাহলে হয়তো ফলাফলে অন্যরকম হতেই পারত। যাই হোক, শেষমেশ তেমন কিছু হয়নি। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে ক্রিজে পড়ে থেকেছেন কিউয়ি ব্যাটাররা। বল পুরনো হতেই প্রভাব কমেছে ভারতীয় বোলারদের। যার অবধারিত ফল, অনায়াসে ভারতের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রায় নিউজিল্যান্ডের পৌঁছে যাওয়া। ধৈর্য ধরে নিউজিল্যান্ডকে জিতিয়ে দিলেন ইয়ং (৪৫) এবং রাচীন রবীন্দ্র (৩৯)। ৩ ম্যাচের সিরিজে কিউয়িরা এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে।
তবে হারলেও বেঙ্গালুরু টেস্টে ভারতের ‘কামব্যাক’ অনেকদিন মনে থেকে যাবে ক্রিকেটপ্রেমীদের। প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানে অলআউট, ৩৫৬ রানে পিছিয়ে থাকা, তার পরও যে ম্যাচে ফিরে আসা যায়, প্রতিপক্ষকে কঠিন লড়াইয়ের মুখে ফেলা যায়, সেটা এই ভারতীয় দলের হার না মানা মানসিকতারই পরিচয় দেয়।
তবে হারলেও বেঙ্গালুরু টেস্টে ভারতের ‘কামব্যাক’ অনেকদিন মনে থেকে যাবে ক্রিকেটপ্রেমীদের। প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানে অলআউট, ৩৫৬ রানে পিছিয়ে থাকা, তার পরও যে ম্যাচে ফিরে আসা যায়, প্রতিপক্ষকে কঠিন লড়াইয়ের মুখে ফেলা যায়, সেটা এই ভারতীয় দলের হার না মানা মানসিকতারই পরিচয় দেয়।