কোলকাতা: ইতিমধ্যেই পথচলা শুরু হয়েছে কলকাতা ফুটবল লিগের। আর সেই কলকাতা ফুটবল লিগকে মাথায় রেখেই ময়দানের তিন প্রধান অর্থাৎ ইস্টবেঙ্গল , মোহনবাগান এবং মোহামেডান স্পোর্টিং মাঠে নামছে।
তেমনি কলকাতা ফুটবল লীগের অন্যতম সেরা ম্যাচ অর্থাৎ কলকাতা ডার্বি ছিল শনিবার। কলকাতা ফুটবল লিগের শতবর্ষের ডার্বির রং লাল হলুদ, কার্যত সবুজ মেরুনব্রিগেডকে ২-১ গোলে পরাস্ত করল বিনা জর্জের ইস্টবেঙ্গল।
খেলার প্রথমার্ধ থেকে ই যেটা নজর কেটেছে সেটি হল সমর্থকদের উল্লাস। ইস্টবেঙ্গলের তরফ থেকে সমর্থকদের উত্তেজনা চোখে পড়লেও মোহনবাগান সুপার জয়েন্টের সমর্থকরা আজ যেন ডার্বিতে গড় হাজির।
খেলার শুরু থেকেই প্রথম কুড়ি মিনিট বল দখল করেছিল মোহনবাগান কিন্তু পরবর্তী সত্যর মিনিটের খেলা যেন থেকে গেল ইস্টবেঙ্গলের পায়ে।
প্রথমার্ধ গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ৩টি গোল হয়। ম্যাচের ৫০ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ইস্ট বেঙ্গলের মাঝ মাঠ থেকে বাড়ানো একটি সুন্দর বলে পিভী বিষ্ণু সেটিকে নিয়ে অসাধারণ পায়ের দক্ষতায় জালে জড়িয়ে দেন এবং এগিয়ে যায় লাল হলুদ বাহিনী।
১৪ মিনিট পরে ব্যবধান বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। এটা ইস্টবেঙ্গলকে মোহনবাগানের উপহার বলা যেতে পারে। ম্যাচের সব থেকে বেশি নজর কেড়েছে এই গোলটির উপর।
গতকাল ইস্টবেঙ্গল অনুশীলনে কার্যত হাতাহাতির ঘটনা ঘটে লাল হলুদে দুই খেলোয়াড় আমন সিকে এবং যেসিন টিকের মধ্যে। কিন্তু দ্বিতীয় বলে আমান এর বাড়ানো বলেই গোল করে মান অভিমান পর্ব শেষ করলেন জেসিন।
ইতিমধ্যে ৭৬ মিনিটে দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হল ইস্টবেঙ্গলের জোসেফকে। ম্যাচের বাকি সময়টা ইস্টবেঙ্গলকে ১০ জনে খেলতে হল। সেই সুযোগে ম্যাচ শেষ হওয়ার একেবারে শেষ মুহূর্তে অতিরিক্ত সময়ের ৫ মিনিটে মোহনবাগান ১টি গোল শোধ করে।
এভাবেই শেষ হয় বছরের প্রথম ডার্বি। কোচ বিনো জর্জ দলকে নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী । ডার্বি জয়ের পর কলকাতা ফুটবল লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছে গেল ইস্ট বেঙ্গল।