কলকাতায় এবার দ্বিতীয় ইডেন! বিরাট ঘোষনা মুখ্যমন্ত্রীর

0

২৯শে এপ্রিল, মঙ্গলবার, কলকাতাঃ খাস কলকাতার বুকেই এবার হতে চলেছে নতুন স্টেডিয়াম। তাও আবার ক্রিকেটের জন্যই। যেই সুখবর ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে প্রবল উদ্দীপনা ছড়িয়ে দিয়েছে। তবে কোথায় হতে চলেছে এই স্টেডিয়াম? কবে শুরু হবে নির্মান কাজ? আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে?

ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শতবর্ষ উদযাপনে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিলেন এই অনন্য উদ্যোগ। যেটি ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য আনন্দের খবর তো বটেই, সাথে রাজ্যের ক্রিকেট কাঠামোকে আরও মজবুত করে তুলতে মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগ অনেক বেশি সহায়ক হয়ে উঠবে। গত ২৫শে এপ্রিল রবীন্দ্র সদনে ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ উপলক্ষ্যে ডকুমেন্টারি উদ্বোধনের অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। যেই বিশেষ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গাঙ্গুলী, সৃঞ্জয় বোস এবং আরও অনেক ক্লাব কর্তারা।

অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্যের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী তার গুরুত্বপূর্ন ঘোষনায় বলেন, রাজারহাট অঞ্চলে প্রায় ১৫ একড়ের বিশাল জমি নতুন স্টেডিয়াম নির্মানের জন্য বরাদ্দ রেখেছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, হাওড়ার ডুমুরজলায় যেই মাঠটি রয়েছে সেখানে সিএবি কতৃক একটি ক্রিকেট অ্যাকাডেমি চালু করা হবে। যেখানে ক্রিকেটের প্রশিক্ষন দিয়ে বাংলার আগামী প্রজন্মকে বাংলার হয়ে ব্যাট ধরতে উৎসাহিত করা হবে।

 

বর্তমানে সিএবি-র হাতে একটি মাত্র আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম রয়েছে। সেটি অবশ্যই নন্দনকানন ইডেন গার্ডেন। তবে সেটি তাদের নিজস্ব জমিতে নির্মিত নয়। ব্রিটিশ আমলে জমিটি রানী রাসমনির দান করা হলেও আজ সেটি আর্মির হস্তান্তরিত। এদিকে দেশের অন্যান্য রাজ্যের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনগুলি ইতিমধ্যেই একাধিক আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম নির্মান করে ফেলেছে।

মহারাষ্ট্রে ৫ টি, পাঞ্জাবে ২ টি, গুজরাটে ২ টি। এছাড়াও বহু নব নির্মিত স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ম্যাচ ইতিমধ্যেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রাজ্য সরকার ১৫ একড়ের এই জমিটি পুর্বে এআইএফএফ-র জন্য বরাদ্দ রাখলেও গত ৮ বছর ধরে সেই জমি তারা কাজে লাগাতে পারেনি। সেই জন্যে সিদ্ধান্ত বদলে জমিটিতে ক্রিকেট স্টেডয়াম নির্মানের উদ্যোগে আসা হয়েছে। সিএবি-ও বহুদিন ধরেই একটি বিকল্প স্টেডিয়ামের জন্য সরকারের সাথে আলোচনা করছিলো। কারন ২০২৬ টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য ইডেনের সংস্করন কাজ স্থগিত করা হয়েছে।

আকাশবানী ভবনের নিকটস্থ গ্যালারির ই, এফ, জি, এইচ অংশ ভেঙে নতুন ক্লাব হাউস নির্মানের কথা থাকলেও আর্মি থেকে এখনও পর্যন্ত সেটির অনুমতি পাওয়া যায়নি। এই দুই বিষয়ের জেরেই নির্মান কাজ আপাতত স্থগিত রেখেছে সিএবি।

রাজারহাটে বরাদ্দ রাখা জমিটি এখন শুধু সিএবি-র কেনার অপেক্ষা। এরপরেই অন্যান্য রাজ্যের মতো বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরাও পেতে চলেছে তাদের আন্তর্জাতিক ম্যাচ দেখার দ্বিতীয় স্টেডয়াম। প্রসঙ্গত, রাজারহাটে এই স্টেডিয়াম নির্মিত হলে অনুষ্ঠিত ম্যাচগুলির ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু উপকার হবে। স্বল্প দূরত্বে এয়ারপোর্ট থাকায় খেলোয়ারদের যাতায়াতে বিপুল সুবিধা হবে। পাশপাশি এই অঞ্চলে প্রচুর ফাইভ স্টার হোটেল রয়েছে। যেগুলিতে সহজেই খেলোয়ারদের থাকার ব্যবস্তা করা যাবে। আবার অরেঞ্জ লাইনের বিশ্ব বাংলা কনভেনসন সেন্টার মেট্রো শুরু হলে শহরের অন্যান্য অংশ থেকে দর্শকদের স্টেডিয়ামে আসাও মসৃন হয়ে উঠবে।