ইউরোর শেষ পর্যায়ের কিছু গুরুত্বপুর্ণ ম্যাচ গুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ম্যাচ ছিল আজ । ইউরোর শেষ আটের প্রথম ম্যাচে আজ মুখোমুখি ছিল স্পেন ও জার্মানি। ইউরো শুরুর থেকেই কার্যত ফেভারিটের তকমা ছিল নাগেলসমানের জার্মানির ওপর , যার অন্যতম কারণের মধ্যেই ছিল ইউরো হচ্ছে জার্মান মুলুকে। যেনো এক মহারণ, ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী দুই দলের লড়াইয়ের সাক্ষী হলো স্তুথার্ট এরিনা। জার্মানিকে ২-১ গোলে পরাস্ত করলো লুই দা ফন্টের স্পেন।
ম্যাচের প্রথম থেকেই বেশ চনমনে ছিল জার্মান আক্রমণ। স্পেনের তথাকথিত একগোছে খেলা যেনো আজ ধরা পড়ল । ইতিহাসের পাতায় রয়েই যায় স্পেনের মাঝ মাঠ মানেই একটা বৈশিষ্ট্য তবে আজ যেনো উলাট পুরণ। প্রথমার্ধ থেকেই ডেভিড রাউম এবং কিমিচের ধারাবাহিক আক্রমনে বিদ্ধ হয়েছে স্পেন। ম্যাচের ৬ মিনিটের মাথায় টনি ক্রুস এর করা চ্যালেঞ্জে আহত হন স্পেনের খেলোয়ার পেদ্রি , জায়গা পান লাইপজিগের ডানি অলমো। সেখান থেকে যেনো আরো আক্রমনে বিদ্ধ হয় স্পেন তবে ভেঙ্গে পড়েনি তারা । এরপরে দ্বিতীয়ার্ধে বার্সেলোনার তরুণ তুর্কি লামিন য়ামালের অ্যাসিস্টে গোল করেন ড্যানি ওলমো। তারপরেও যেনো প্রতিনিয়ত আক্রমন সাধতে থাকে কাই হার্ভেটজ ও ফ্লোরিয়ান রিৎজ। এবং অবশেষে জোসুয়া কিমিছের অ্যাসিস্টে গোল করে সমতায় ফেরান লেভারকুসেনের তারকা ফ্লোরিয়ান রিৎজ। তবে আজ যেনো নিশ্চুপ ছিল জার্মান মাঝ মাঠ। মাঝ মাঠের রাজকুমার মুসিয়ালার কার্যত খারাপ খেলার ছবি তুলে ধরলো জার্মানদের ।
৯০ মিনিটের শেষে স্কোর দাঁড়ায় ১-১ । ম্যাচ গড়িয়ে যায় এক্সট্রা টাইমের দিকে , যেখানে স্পষ্ট ধরা পড়ে জার্মান দলের মাঝ মাঠের খামতি। স্পেনের তরফে বেশ কিছু ভালো সুযোগ তৈরি করা হলেও জার্মানির ডিফেন্সের কাছে পরাস্ত হয় তারা । ম্যাচের মাঝে শুরু হয় বিতর্ক , মার্ক কুক্রেয়া এর হাতে লেগে বল যায় নাচো এর কাছে তবু পেনাল্টি দেওয়া হয়না । ১১৮ মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মাইকেল মেরিনোর হেড দেওয়া গোলে জার্মানির কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নেয় স্পেন। ড্যানি ওলমোর ভাসানো বলকে মাথা দিয়ে ঠেলে জালে জড়িয়ে দেন মিকেল মেরিনো, হতভম্ব মানুয়েল নেউর। দেশের হয়ে ইউরো জয়ের স্বপ্ন অধরা থেকে গেলো রিয়াল মাদ্রিদ তারকা টনি ক্রুস এর । শেষে ফুলকরুগের কাছে সুযোগ এলো শেষ রক্ষা হলনা জার্মানির। জার্মানিকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে স্পেন।