১৫০ কোটির দেশে অলিম্পিক প্রতিনিধিত্ব এত কম কেন? গলদ কি গোড়াতেই? আসুন জেনে নিই

0

প্যারিস: খুবই সংগত প্রশ্ন! যে দেশে দেড়শো কোটির বেশি জনসংখ্যা, তাদের অলিম্পিক্স প্রতিনিধি মাত্র ১১৭ জন। ভারতের কেন মাত্র নয়টা সোনা, কেন এতগুলো অলিম্পিক্সে মাত্র দুটো ব্যক্তিগত সোনা?

চীনের কথা তো ছেড়ে দেওয়াই ভাল।মাইকেল ফেল্পসের ব্যক্তিগত সোনা ১৮টা, আর ভারতের তার অর্ধেক। অর্থাৎ একজন আমেরিকান অ্যাথলেট ভারতের দ্বিগুন সোনা জিতেছেন! ভাবলে লজ্জা লাগে, কিন্তু এটা মানতেই হবে ভারতে খেলাধুলোর পরিকল্পনা – ব্যবস্থাপনা – সংস্কৃতি ব্যাপারটাই খুব কম। কারণ যেখানে স্পেন এর মত ১ টা ছোট্ট দেশ যার জনসংখ্যা মাত্র ৪.৭৮ কোটি অর্থাৎ আমাদের পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যার অর্ধেকের থেকেও কম সেখানে তাদের প্রতিনিধি ৩৮২ জন মানে ভারতের ৩ গুণ। সত্যি এক্সপার্ট রা ঠিকই বলে ভারত ক্রিকেট ছাড়া বাকি খেলা খেলতেই চায় না।

কিন্তু ভারতের যে প্রতিভা নেই তা বলা ভুল। প্রতিভা তো আছেই, সেজন্যই তো দীপিকা কুমারী, অভিনব বিন্দ্রা, গগন নারাঙ্গ, যোগেশ্বর দত্ত, নীরাজ চোপড়া, অভিনব বিন্দ্রা বা সুশীল কুমারকে পেয়েছে ভারত। কিন্তু এরা সকলেই নিজের ক্ষমতায় উঠে এসেছে।
চীন, আমেরিকা বা ব্রিটেনের মতো একটা পরিকল্পিত পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে অ্যাথলেটদের প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বর্ণপদক জয়ী অ্যাথলেট ভারত তৈরি করতে পারে নি।
এটা যতদিন না হবে ততদিন ভারত এই ব্যক্তিগত পদকগুলো নিয়েই মাতামাতি করতে থাকবে। আর অলিম্পিক্সের ইতিহাসে ভারতের নাম ‘অলসো র‍্যান’দের তালিকাতেই থেকে যাবে।

তবে এটাও বলা দরকার প্যারিস এ ভারত টোকিও এর থেকে বেশি পদক আশা করতেই পারে। কারণ অন্যবারের তুলনায় অনেক বেশি অ্যাথলেট এবারে প্রতিযোগিতায় নামছেন।
অলিম্পিক্স নিয়ে একটা নড়াচড়া ভারতে কিন্তু শুরু হয়েছে এটা মানতে হবে। হতে পারে এটাই হয়তো একটা নতুন যুগের সূচনা করবে।

আর সেটা হলে ২০২৮ -এর টোকিও অলিম্পিক্সের সময়ে হয়তো আমাদের আর এরকম ব্লগ লিখতে হবে না। কয়েকজন চ্যাম্পিয়নও যদি প্যারিস এ পাওয়া যায়, তাহলেই একটা স্ফুলিঙ্গ তৈরি করতে পারবে – যার ফলে ভবিষ্যতে হয়তো আরও চ্যাম্পিয়ন বেরিয়ে আসবে।

সেই আশাই আমরা করব রিও ২০২৪ এ।