কলকাতা:–
অপেক্ষার অবসান। তাও আবার টানা ৮ বছরের অপেক্ষা । ২০১৮ এর পর আজ ২০২৪ এর শেষ দিনে সন্তোষ ট্রফি জয় বাংলার। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে রবি হাসদার গোলে চ্যাম্পিয়ান হল সঞ্জয় সেনের দল। কেরালকে ১–০ গোলে পরাস্ত করে শাপমোচন বঙ্গ ফুটবলের। বাংলার হয়ে রেকর্ড গোল করেছেন রবি হাসদা, সন্তোষের মঞ্চে ১২ গোল করে ইতিহাসের পাতায় রবি।
এ যেনো এক অলীক কল্পনা! এই শব্দটি বহুবার ময়দানে ভেসেছে। “বাংলার ফুটবল আর নেই” এই প্রবাদ যেন আজ চিরতরে গা থেকে ঝেড়ে ফেললো চাকু মান্ডি এবং ব্রিগেড। এই নিয়ে মোট ৩৩ বার সন্তুষ্ট ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলার দল, শেষবার বাংলা সাফল্য এসেছিল ২০১৬ সালে। এর মাঝে বাংলা বিগত দুবার ফাইনালে উঠেও হারের মুখোমুখি হয়েছিল। ২০১৯ মৌসুমে কেরলের বিরুদ্ধে পরাস্ত হয়েছিল বাংলার দল আজ যেন এক মধুর প্রতিশোধ নিলো সঞ্জয় সেন এর ব্রিগেড।
আজ হায়দ্রাবাদী স্টেডিয়ামে প্রথম থেকেই বেশ আক্রমণাত্মক শুরু করেছিল বঙ্গ ফুটবল তবে নরহরি শ্রেষ্টার দলে না থাকা বেশ চিন্তায় ফেলেছিল সমর্থকদের। কিন্তু ওই যে বলে না জঙ্গলে বাঘ সবসময় থাকে , আর সেই বাঘের আরেক নাম বাংলার রবি হাঁসদা। খেলাটা একেবারে শেষ মুহূর্তে সেই সময় একটি দুর্দান্ত গোল করে বাংলাকে সন্তোষ ট্রফি এনে দিল রবি। তবে শুধু রবি নয় মাঝমাঠে অধিনায়ক চাকু এবং আদিত্য থাপা যেন বল পায় আটকে রেখেছিল। কেরালার অন্যতম প্রতিভা নাসিব রেহমান বাংলাকে বেশ কয়েকটি কঠিন চ্যালেঞ্জ দিলেও বাংলার রক্ষণভাগ ভেদ করে ঢুকতে পারেনি তিনি।
বাংলা রক্ষণ ভাগের আজ দম্ভ জুয়েল মজুমদার, সমগ্র ৯০ মিনিট যেন কেরালার তৈরি একাধিক সুযোগকে নিজের হাতেই পতন করেছেন তিনি। খেলাটা একেবারে শেষ মুহূর্তে বাম দিক থেকে আসা একটি দুর্দান্ত ক্রসে বল চলে আসে রবির বায় গোল সামনে পেয়ে রবি নিজের কাজটি যথাসাধ্য করে দেয়।
সন্তোষ ট্রফি জয়ের অন্যতম কারিগর নতুন নিযুক্ত কোচ সঞ্জয় সেন রীতিমতো কয়েক মাস ধরে দলকে যেন একতার পাঠ পরিয়েছিলেন তিনি এবং সেই পরিশ্রম যেন আজ বছরের শেষ দিনে সফল হল।
প্রতিবেদক : উত্তম পাল