কলকাতা: বাংলাদেশ এর ব্যাটিং এর অন্যতম স্তম্ভ তিনি। পাকিস্তানের মাটিতে অসাধারণ পারফরমেন্স করে দলকে জিতিয়ে এবারে ভারতের মাটিতে খেলবেন লিটন দাস। রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। শুধু সেঞ্চুরি করেননি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের সেরাও তাঁকেই নির্বাচিত করা হয়। তিনি অর্থাৎ, লিটন দাস। বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ের প্রধান ভরসা। যিনি পাকিস্তান সিরিজ ভুলে গিয়ে আসন্ন ভারত সফরে মন দিতে চান।
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ সিরিজ। প্রথম টেস্ট চেন্নাইয়ে। দ্বিতীয় টেস্ট হবে কানপুরে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর চেন্নাই পৌঁছোচ্ছে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডে সারের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলে সরাসরি ভারত সফরে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন পদ্মাপার তারকা সাকিব-আল-হাসান। ইতিমধ্যেই ভারত-বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজ নিয়ে দামামা বেজে গিয়েছে। আগ্রহ আরও বেড়ে গিয়েছে যেহেতু পাকিস্তানকে তাদের দেশে গিয়ে ‘বাংলাওয়াশ’ করে এসেছেন শান্ত-সাকিবরা। কিন্তু লিটন চান না, মিডিয়া পাকিস্তানে গিয়ে পাকিস্তান বধকে নিয়ে অতিরিক্ত লাফালাফি করুক।
ভারত সফর আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ,’’ মঙ্গলবার দেশজ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বলে দিয়েছেন লিটন। এরপরই মিডিয়াকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, ‘‘আপনাদেরও একটু সাহায্য করতে হবে এই ব্যাপারে। আমি বলব, পাকিস্তান সিরিজ নিয়ে যত আপনারা কম কথা বলেন, তত ভালো। কারণ, সামনে যে সিরিজটা আসছে, তা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে। প্লেয়ার হিসেবে বলতে পারি, পাকিস্তান সিরিজ আমার কাছে অতীত। আপনারা সবাই জানেন, ভারত বড় টিম। বড় দল। এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে বলে খেলা হয়েছিল, তার চেয়ে ভিন্ন বলে ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে হবে আমাদের। যে বলে আমরা খুব বেশি খেলি না। যাক গে। আমাদের প্লেয়াররা পরিশ্রম করছে। এবার দেখা যাক।’’
ভারত তৈরী তাদের ঘরের মাঠে জেতার জন্য, বাংলাদেশ এর কাছে চ্যালেঞ্জ ভারত কে ঘরের মাঠে হারানো। প্রায় এক যুগ ধরে ভারত নিজের মাটিতে একটাও ম্যাচ হারেনি যা দাঁড়ায় প্রায় ৪০০০ দিনেরও বেশী। তাই কে ভারত কে হারিয়ে সিরিজ জেতা মোটেই সহজ হবে না তা অকপটেই শিকার করা যায়। যদিও লিটন – শাকিব দের আত্মবিশ্বাস এখন অনেকটাই বেশী পাকিস্তান কে নিজেদের ঘরেই হারানোর ফলে।
রোহিত বাহিনীও চাইবে জয়ের ধারা অব্যহত রাখতে নিজের ঘরের মাঠে, ও আসন্ন ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকাতে শীর্ষ স্থানেই নিজেদেরকে ধরে রাখতে। এখন দেখার বিষয় বাংলাদেশ কি নতুন ইতিহাস রচনা করতে পারবে নাকি ভারত তার পূর্ণ রেকর্ড বজায় রাখবে নিজের ঘরের মাঠে জয়ের।