কালো সাদা ব্রিগেডের শত চেষ্টার পরও পরাজয়ের মুখোমুখি হতে হলো বেঙ্গালুরু বিপক্ষে

0

ডুরান্ড কাপ শুরু হয় বেশি কিছুদিন হয়ে গেছে ভারতীয় মানুষদের একাধিক পছন্দের দল খেলছে এখানে আজও ছিল দুই শক্তিশালী দলের খেলা যেখানে বেঙ্গালুরু এসির মুখোমুখি দাঁড়াবে কলকাতার এক প্রধান দল মোহামেডান এফসি।

খেলা শুরু হওয়ার প্রথম মুহূর্ত থেকেই দুই দলই আক্রমণ করতে থাকে। বেঙ্গালুরু এফসি তাদের একাধিক আক্রমণ সানাতে থাকে মোহামেডানের ভারতীয় একাদশীর বিরুদ্ধে। এবং এরই ফলস্বরূপ ম্যাচের শুরুতেই খেলার প্রথম কর্নার থেকে ৬ মিনিটের মাথায় জোভানোভিচ এর করা হেড থেকে ম্যাচের প্রথম গোলটি চলে আসে। এর ফলে মোহামেডান এক ধাপ পিছিয়ে পড়ে ব্যাঙ্গালোর থেকে, তারপর একাধিক আক্রমণ সানাতে থাকে ব্যাঙ্গালোর এসি, মোহামেডানের রক্ষনভাগ এই আক্রমণের ঝড় না সামলাতে পেরে মোহামেডান যেন প্রথমার্ধে খেলায় হারিয়ে যেতে থাকে। এরপরে ম্যাচের বয়স যখন ২৪ মিনিট পেরেরাডিয়াসকে বানানো একটি ট্রু বলে করা শট থেকে চলে আসে ম্যাচের দ্বিতীয় গোল যা মোহামেডানের দিপু হালদারের পায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। ৩৪ মিনিটের মাথায় মোহামেডানের সজল বাগের কাছে ম্যাচে তার দলকে এক ধাপ এগিয়ে আনার একটি সুবর্ণ সুযোগ থাকলেও সেটি কার্যকর হয়ে উঠতে পারে না। ২ – ০ সংখ্যায় শেষ হয় প্রথমার্ধ।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আবারও বেঙ্গালুরু আক্রমণ সানাতে থাকে মহামেডানের রক্ষণভাগে। মোহামেডানের একাধিক প্লেয়ার কে রক্ষণভাগে নিয়ে আসার পরও যেন কোথাও না কোথাও ফাটল রয়ে যাচ্ছিল। বেঙ্গালুরু জয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এগিয়ে আসছিল এরই ফলস্বর বেঙ্গালুরু ৫৯ মিনিটে বিনিত ভেঙ্কাটেশর বক্সের বাইরে থেকে করা একটি জোরালো শর্টে চলে এলো ম্যাচের তৃতীয় গোল। এরপর আক্রমণের চাপ আরো বাড়ানো হয়। এরপর ৭৬ মিনিটের মাথায় কালো সাদা ব্রিগেটের খেলোয়ারের করা একটি ক্রস থেকে ইসরাফিল দক্ষতার সাথে মাথা ছুঁয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন । এর ফলে মোহামেডান একটি দিশা খুঁজে পায় এবং গোল সংখ্যা বাড়াতে মরিয়া হয়ে ওঠে, এর ফলে ঘন ঘন আক্রমণ করতে থাকে তারা। এর পাল্টা প্রতি আক্রমণে একটি থ্রুববল বাড়ানো হয় পেরেরাডিআজকে এবং তাকেই রুখতে গিয়ে অবৈধ ট্যাকেলের দায় লাল কার্ড দেখতে হয় মোহামেডানের গোলকিপার শুভজিৎ ভট্টাচার্য কে। ম্যাচের সমস্ত পরিবর্তন করে ফেলায় দলের একাদশ প্লেয়ারদের মধ্যেই এক খেলোয়াড়কে গোলরক্ষক হিসেবে দাঁড়াতে হয়। এতে মোহামেডান এফসি হীনমন্যতায় না ভুগে আবার প্রতি আক্রমণে উঠতে থাকে। এরই ফলস্বরূপ ৯১ মিনিটের মাথায় মহিতোষের কড়া দূরপাল্লার শর্ট থেকে চলে আসে মহামাডানের দ্বিতীয় গোল। একাধিক প্রচেষ্টার পরেও মোহামেড সি এই ম্যাচের জয় পায় না। এরি সাথে ৩-২ ব্যবধানে বেঙ্গালুরু এফ সি, এই ম্যাচে জয়লাভ করে।