ইস্পাত নগরে পরাস্ত মোহামেডান, দ্বিতীয়ার্ধে গোল খাওয়ার মুদ্রাদোষ আজও বর্তমান 

0

কলকাতা:- আবারো সেই পুরনোভাবেই নিজেদের হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ মুষ্টিহীন করল মোহামেডান স্পোটিং। তথাকথিত সহজ প্রতিপক্ষ জামশেদপুরের বিপক্ষেও হাড়ের মুখোমুখি হল সাদাকালো ব্রিগেড চিন্তার ভাঁজ সমর্থকদের কপালে। আজ সকালেই মোহামেডান সমর্থকেরা পৌঁছে গিয়েছিলেন জামশেদপুর তথা ইস্পাতের নগরীতে কিন্তু তাতেও হলো না কোন লাভ। টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে দুর্দান্ত খেলা প্রদর্শন করলেও আন্তর্জাতিক বিরতির পর যেন ছন্দহীন এলেক্সিস গোমেজরা। ফির নিজেদের মুদ্রা দোষেই পরাস্ত হতে হল তাদের অর্থাৎ প্রথমার্ধ হাতের মুঠোয় থাকলেও দ্বিতীয়আর্ধে পরপর তিনটি গোল খেয়ে ব্যাক ফুটে চলে যায় মোহামেডান।

 

আজকেও দলের একমাত্র চিন্তার বিষয় তাদের ডিফেন্স প্রথমে গৌরব বোড়ার চোটের কারণে মাঠে নামেন বিদেশি ডিফেন্ডার আজদেই। তার সাথে ফরাসি রক্ষণ বিভাগ তারকা ফ্লোরিয়েন্ট উগীরের পার্টনারশিপ তেমন নজর কাড়লো না। খেলার ফলাফল শেষ হলো ৩-১ হিসেবে। খালিদ জামিলের সৈন্য যেনো উড়িয়ে দিল অতিথি দলকে।

 

গত ম্যাচে ও সুনীল ছেত্রীর জোড়া গোলের জেরে শূন্য হাতে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল সাদা-কালো শিবির কে আজ জামসেদপুর এফসির কাছে পরাস্ত হয়ে পরিস্থিতি যেন আরো দুর্ভাগ্যজনক হয়ে উঠেছে কোচের জন্য। আজকের খেলার হিরো যদি বলা যায় তবে বলতে হয় জামশেদপুর এফসির মাঝ মাঠ খেলোয়াড় সিভিয়েরো এবং জাভি এর কথা।

 

প্রথমার্ধে অবশ্য কোনরকম গোলমুখী সুযোগ তৈরি করতে পারেনি যে জামশেদপুর কিন্তু ঘরের দল হওয়ার সুবাদে নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে খেলেছে তারা এবং ফলও পেয়েছে। দ্বিতীয়ারদের শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণে উঠতে থাকে জামশেদপুর, এবং এই আক্রমণের সুবাদেই প্রথম গোল করেন মোহাম্মদ সানন। ৫৩ মিনিটে প্রথম গোল আসবার পড়ি ৬১ মিনিটে চমৎকার হেডারের মাধ্যমে গোল সংখ্যা বাড়িয়ে দেন প্রাক্তন ইস্টবেঙ্গল তারকা হাভিয়ের সিভিয়েরো। জামশেদপুরের তৃতীয় গোলটি করেন এজার। ৮৮ মিনিটের মাথায় মোহামেডান হয়ে গোল শোধ করেন

মোহাম্মদ এরশাদ।

 

এর পরে সংযুক্তি সময়ে পেনাল্টি পেলেও তা জালে জড়াতে পারেনি অতিথি দল দুর্দান্ত গোলরক্ষক এর সামনে পরাস্ত হয় মোহামেডানের আক্রমণ বিভাগ।

 

বেঙ্গালুরু এফসির পরে আবারো জামশেদপুর এর কাছে হারের পর মোহামেডান এই মুহূর্তে টেবিলের দ্বাদশ তম স্থানে রয়েছে ।