কলকাতা:- যুবভারতীর শীতের রাতে সমর্থকদের মনে মশাল জ্বালালো ইস্টবেঙ্গল। এ যেনো এক অন্য প্রধান দল, রীতিমত নাটকীয় প্রত্যাবর্তন। মাঠের মাঝের দুই কোচের লড়াইয়ে যেনো আজ দ্রোণাচার্য অস্কার ব্রোজো।
সল ক্রেস্প, তালাল এবং দিয়ামন্তাকোস কে ছাড়াই যেন এক নতুন ইস্টবেঙ্গলের প্রমাণ দিলো অস্কারের দল।
প্রথমার্ধের শুরুটা তেমন ভালো হয়নি ঘরের দল ইস্টবেঙ্গলের জন্য। এই মুহূর্তে আইএসএল টেবিলে যথেষ্ট ভালো স্থানে রয়েছে পাঞ্জাব, আজ ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি করা হয়েছিল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। খেলাটা একেবারে শুরু থেকেই একাধিক আক্রমণ চালিয়েছে পাঞ্জাব তবে হিজাজী এবং ইস্টবেঙ্গল রক্ষন বিভাগের জেরে প্রথম দিকে তেমন গোল আসেনি। খেলার কুড়ি মিনিট অতিবাহিত হওয়ার পর পাঞ্জাব যেন ইস্টবেঙ্গলের রক্ষন বিভাগে কড়া নারছিল আর সেটি বাস্তবায়িত হল আজমিরের পা দিয়ে। আজমিরের গোলে এগিয়ে যায় পাঞ্জাব এফসি। খেলার বাইশ মিনিটের মাথায় একটি সুন্দর ক্রসে শর্ট মেরে ইস্টবেঙ্গলের জালে বল জড়িয়ে দেয় পাঞ্জাবের আজমির। প্রথম থেকে বেশ নড়বড়ে লাগছিল। মাজমাঠ দখল থেকে শুরু করে গোলকিপার গিলের মনসংযোগহীনতা এই সবকিছুই যেন আজ ইস্টবেঙ্গলের জন্য বেশ কিছুটা প্রতিকূলতা এনে ছিল।
FT | The real Shers on the pitch! 🦁🫡#JoyEastBengal #ISL #EBFCPFC pic.twitter.com/QJNWWLl9Zv
— East Bengal FC (@eastbengal_fc) December 17, 2024
পাঞ্জাব এফ সির গোলের পরেও ইস্টবেঙ্গল বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে এবং দুটি সুযোগই তৈরি হয় ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার ক্লেইতন সিলভার পা থেকে। তিরিশ মিনিটের মাথায় প্রথম সুযোগ পান ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার ডান পায়ের জোরালো শর্ট, বলটি পাঞ্জাবের গোল ঘেঁষে গোল ঠিক হয়ে যায় কিন্তু তারপরও থেমে থাকে না এরপরে দুটো সুযোগ তৈরি করলেও দুটো সুযোগই ভাগ্যের ফেরে হয়ে যায় অফসাইড।
দ্বিতীয় গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি লুকাদের, আনোয়ার এর দোষে গোল হজম করতে হল লাল হলুদকে। পুল্গা বিদাল এর জোরালো শটে এগিয়ে যায় পাঞ্জাব। রীতিমত একাধিক আক্রমনের মধ্য দিয়েই কেটে যায় প্রথম ৪৫ মিনিট।
পাঞ্জাব এর বিরুদ্ধে নেমে রঙ পাল্টে নিল ইস্ট বেঙ্গল, ৯ মিনিটের মধ্যে পরপর দুটি গোল দিয়ে খেলায় ফেরে লাল হলুদ বাহিনী। প্রথম গোলটি আসে ডিফেন্ডার হিজাজি মাহিরের কাছ থেকে , সিল্ভার বাড়ানো বলকে পাঞ্জাবের জালে জরিয়ে দেয় এই জর্ডানের তারকা। এর কিছুক্ষণের মধ্যে ইস্ট বেঙ্গলের ভাই গোল করেন পি ভি বিষ্ণু। পরপর দুটি গোল আশায় পাঞ্জাবের বিপক্ষে খেলায় ফেরে অস্কারের দল।
দ্বিতীয় গোলের পরে যেনো আরো কিছুটা আক্রমন সাদছিল মশাল ব্রিগেড। বিষ্ণুর গোলের পরেই ইস্টবেঙ্গলের হয়ে তৃতীয় গোল আসে খানিকটা ভাগ্যের জেরেই। রাকিপের বাড়ানো বলকে ক্লিয়ার করতে পারেনি পাঞ্জাব রক্ষন, পাঞ্জাব ডিফেন্ডারের ভুলেই গোল হজম করে তারা। কিন্তু ম্যাচের গুরুত্বপুর্ণ অংশ আসে ডেভিডের গোল এর মধ্য দিয়ে, প্রাক্তন মহামেডান তুর্কির বিশ্বমানের গোলের জেরে ৪-২ গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল।
এরপর থেকে টানা ২০ মিনিট খেলার সমস্ত দখল রেখেছিল ইস্টবেঙ্গল। পাঞ্জাবের বিরূদ্ধে ঘরের মাঠে যেনো এক দুরন্ত ফুটবল উপহার পেলো লাল হলুদ সমর্থকরা।