বর্তমানে আনোয়ার আলিকে নিয়ে সরগরম দলবদলের বাজার। গত মরসুমে মোহনবাগান জার্সিতে দুরন্ত ছন্দে ধরা দিয়েছিলেন এই ভারতীয় ডিফেন্ডার। রক্ষণভাগ সামাল দেওয়ার পাশাপাশি এএফসির টুর্নামেন্টে গোল এসেছে আনোয়ারের পা থেকে। কিন্তু আসন্ন ফুটবল সিজনে তাঁর অবস্থান এখনো স্পষ্ট নয়। বলতে গেলে এই ফুটবলারকে নিয়ে রীতিমতো ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছে মোহন-ইস্টের মধ্যে। গত মরশুমে তাকে দলে এনেছিল মোহনবাগান। কিন্তু এবার ফিফার লোনের নিয়ম মেনেই আনোয়ারকে ফেরানোর উদ্যোগ নেয় দিল্লি এফসি।
এক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় মোহনবাগানের সঙ্গে থাকা তাঁর দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি। তার মাঝেই আসরে নেমে পড়ে ইমামি ইস্টবেঙ্গল। বিশেষ সূত্র মারফত খবর, নতুন মরসুমের কথা মাথায় রেখে লাল-হলুদে সই করে ফেলেছেন আনোয়ার আলি। যারফলে, মোহনবাগানের সম্মতি ছাড়া পড়শী ক্লাবের হয়ে মাঠে নামা নিয়ে দেখা দিয়েছে একাধিক প্রশ্ন চিহ্ন। এসবের মাঝেই আগামী ১৯ জুলাই আনোয়ার আলিকে দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে সবুজ-মেরুনের তরফ থেকে। যা নিয়ে রীতিমতো দেখা দিয়েছে বিতর্ক।
কিন্তু এখন আদৌও কি মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস দলের হয়ে মাঠে নামতে পারবেন আনোয়ার? হিসেব অনুযায়ী প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি ও ফিফার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত হয়ত দুই প্রধানের কোথাও খেলতে পারবেন না আনোয়ার আলি। অর্থাৎ এখনি জাতীয় স্তরের কোনও টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না এই ভারতীয় ডিফেন্ডার। তবে মোহনবাগানের জার্সিতে আপাতত রাজ্য স্তরের কোনও টুর্নামেন্টে অংশ গ্ৰহন করতে বাঁধা থাকার সম্ভাবনা আপাতত নেই বললেই চলে। যদিও সেটি নির্ভর করছে খেলোয়াড় নিজস্ব মতামতের ভিত্তিতে।
তবে আগামী ১৯ জুলাই একটি বিশেষ দিন হতে চলেছে আনোয়ার আলির জন্য। সেদিন তিনি অনুপস্থিত থাকলে বাড়তে পারে জল্পনা।