অন্ধ্রপ্রদেশে: দলীপ ট্রফির প্রথম রাউন্ডে ভারত এ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শুভমন গিল। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট স্কোয়াডে থাকা অনেকেই প্রথম রাউন্ডে খেলেছিলেন। শুভমন টেস্ট স্কোয়াডে থাকায় দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে নেতৃত্ব দেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। তাঁর নেতৃত্বেই ভারত এ দল দলীপ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হল। তিন রাউন্ডের ম্যাচ। তিন ম্যাচের মধ্যে দুটি জয়। ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ভারত এ দল। চ্যাম্পিয়নও তারাই। শেষ ম্যাচে অর্শদীপ সিংয়ের অনবদ্য পারফরম্যান্সে জিতল ভারত ডি-দল। যদিও টেবলে শেষেই তারা।
চ্যাম্পিয়ন হতে শেষ রাউন্ডের ম্যাচে ভারত সি দলের বিরুদ্ধে জিততে হত মায়াঙ্ক আগরওয়ালের নেতৃত্বাধীন ভারত এ দলকে। শাশ্বত রাওয়াত ও প্রসিধ কৃষ্ণর অনবদ্য পারফরম্যান্সে জিতল ভারত এ দল। প্রথম ইনিংসে ২৯৭ রান করেছিল ভারত এ। সেঞ্চুরি করেছিলেন শাশ্বত। জবাবে ভারত সি দল মাত্র ২৩৪ রানেই গুটিয়ে যায়। ব্যাট হাতে ভরসা দিয়েছিলেন অভিষেক পোড়েল। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮৬ রানে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে ভারত এ দল। সাই সুদর্শন সেঞ্চুরি করলেও হার বাঁচাতে ব্যর্থ ভারত সি-দল। মিডল ও লোয়ার অর্ডার চূড়ান্ত ব্যর্থ।
তৃতীয় রাউন্ডের অন্য ম্যাচে ভারত বি দলকে ২৫৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে সান্ত্বনার জয় শ্রেয়স আইয়ারের নেতৃত্বাধীন ভারত ডি দলের। সঞ্জু স্যামসনের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৩৪৯ রান করে ভারত ডি। অভিমন্যু ইশ্বরণ ১১৬ রানের ইনিংস খেললেও সতীর্থদের ব্যর্থতায় ২৮২ রানেই অলআউট ভারত বি দল। অর্শদীপ সিং প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে রিকি ভুইয়ের সেঞ্চুরি, শ্রেয়সের হাফসেঞ্চুরিতে ৩০৫ রান করে ভারত ডি দল। শেষ ইনিংসে ভারত বি দলের টার্গেট দাঁড়ায় ৩৭৩ রান। কিন্তু নীতীশ কুমার রেড্ডির ৪০ ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোনও রান নেই। মাত্র ১১৫ রানেই অলআউট ভারত বি দল। অর্শদীপ সিং ৬ উইকেট নেন। ম্যাচে সব মিলিয়ে ৯ উইকেট অর্শদীপ সিংয়ের।