মুম্বাই: সাম্প্রতিক অতীতে এত লজ্জার মুখে পড়তে হয়নি ভারতীয় দলকে। শেষবার ২৪ বছর আগে ঘরের মাঠে টেস্ট হারতে হয়েছিল টিম ইন্ডিয়াকে। মুম্বই টেস্টে ২৫ রানে লজ্জার হারের পর ফিরল ২৪ বছরের আগের লজ্জা। মরিয়া লড়াই করেও দলকের মানরক্ষা করতে পারলেন না ঋষভ পন্থ।
১৪৭ রান করলেই মুখরক্ষা হবে। অন্তত হোয়াইটওয়াশের মুখে পড়তে হবে না। এই ছিল লক্ষ্যমাত্রা। পিচে যতই ঘূর্ণি থাক, ভারতের তথাকথিত বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইনআপের পক্ষে অন্তত এই রানটা বিরাট তোলা বিরাট কঠিন কাজ হবে না বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু সমস্যা হল, চলতি সিরিজে একেবারেই ফর্মে নেই টিম ইন্ডিয়া টপ অর্ডার। চলতি সিরিজে আগেই বার দুয়েক ব্যাটিং বিপর্যয় হয়েছিল, মুম্বইয়েও একই কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি হল। রোহিত, কোহলি, শুভমান গিলের মতো বাঘা বাঘা ব্যাটাররা শুধু অসহায় আত্নসমর্পণ করলেন বললে কম বলা হবে। ১৪৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে টিম ইন্ডিয়া অল আউট হয়ে গেল মাত্র ১২১ রানে। দ্বিতীয় ইনিংস ৩০ ওভারও খেলতে পারলেন না রোহিতরা।
পন্থের লড়াই শেষ হল ৬৪ রানে। অজাজের বলে ক্যাচের আবেদন করে নিউ জ়িল্যান্ড। মাঠের আম্পায়ার আউট দেননি। রিভিউ নেন টম লাথাম। রিপ্লেতে দেখা যায় ব্যাট একই সঙ্গে পন্থের প্যাড এবং বলের কাছে এসেছে। আত্মবিশ্বাসী পন্থ দাবি করেন বল তাঁর ব্যাটে লাগেনি। ব্যাট এবং প্যাডের সংঘর্ষের শব্দ ধরা পড়েছে স্নিকোমিটারে। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে সাজঘরে ফিরতে হয় উইকেটরক্ষক-ব্যাটারকে। এর পর আর কেউই চাপ সামলাতে পারেননি। রবিচন্দ্রন অশ্বিন (৮), আকাশ দীপ (শূন্য), ওয়াশিংটনেরা (১২) পর পর আউট হয়ে গেলেন।
মুম্বইয়ের ২২ গজে আবারও বিপজ্জনক হয়ে উঠলেন অজাজ। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নিলেন নিউ জ়িল্যান্ডের ভারতীয় বংশোদ্ভুত স্পিনার। ৫৭ রানে ৬ উইকেট নিলেন তিনি। তাঁর স্পিন সামলাতে পারেননি ভারতীয় ব্যাটারেরা। এ ছাড়া গ্লেন ফিলিপস ৪২ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। তাঁর বল খেলতেও সমস্যায় পড়েছেন ভারতীয় ব্যাটারেরা। ১০ রানে ১ উইকেট ম্যাট হেনরির।