জিকসনের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি করছে ইস্টবেঙ্গল। তবে এটি আরও এক বছর বাড়ানো হতে পারে। প্রতি বছর প্রায় আড়াই কোটি টাকা করে পেতে পারেন জিকসন। শোনা যাচ্ছে, কেরালাকে রেকর্ড ৩.২ কোটি ট্রান্সফার ফি দিতে হচ্ছে লাল-হলুদকে। ইতিমধ্যে বৃহস্পতিবার ভোরে কলকাতায় চলে এসেছেন জিকসন সিং। কিছু দিন ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, ইস্টবেঙ্গলে সই করতে পারেন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। মনে করা হচ্ছে, এই কারণেই তাঁর কলকাতায় আসা।
কেরালা ব্লাস্টার্সের সঙ্গে যে তাঁর সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে, ইতিমধ্যে সেটা প্রকাশ্যে এসেছে। এমনও জানা গিয়েছে, ইস্টবেঙ্গলের চুক্তিপত্রে সই করে দিয়েছেন। কেরালা ব্লাস্টার্সের তরফে বৃহস্পতিবারই জিকসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছে। তাইল্যান্ডে কেরালা ব্লাস্টার্সের প্রাক মরশুম প্রস্তুতি শিবির ছেড়ে কলকাতায় চলে এসেছেন জিকসন। চোটের চিকিৎসার জন্য মূলত তিনি এখানে এসেছেন বলা হচ্ছে। আর চিকিৎসকেরা সবুজ সঙ্কেত দিলেই নাকি তাঁর নাম আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করবে ইস্টবেঙ্গল।
এমনও শোনা যাচ্ছে, ইস্টবেঙ্গল ট্রান্সফার ফি হিসাবে কেরালা ব্লাস্টার্সকে রেকর্ড ৩.২ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে। জিকসনকে নিতে আরও কয়েকটি ক্লাব মুখিয়ে ছিল। যে কারণে তাঁর ট্রান্সফার ফি-ও বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের আর্থিক প্রস্তাব বাকি সবাইকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। জিকসনের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি করছে ইস্টবেঙ্গল। তবে এটি আরও এক বছর বাড়ানো হতে পারে। প্রতি বছর প্রায় আড়াই কোটি টাকা করে পেতে পারেন জিকসন। আপুইয়া রালতেকে সই করতে না পারায় কিছুটা হলেও ধাক্কা খেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডের জায়গায় একজন ভালো মানের ভারতীয় ফুটবলার দরকার তাদের। সেই কারণেই জিকসনকে নেওয়ার জন্য ঝাঁপিয়েছিল তারা।
উল্লেখ্য, জিকসনই বিশ্বকাপে গোল করা একমাত্র ভারতীয় ফুটবলার। অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে তাঁর গোল ছিল। কেরালার হয়েও বেশ ভালো খেলেছেন তিনি। ২৩ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার মিনার্ভা অ্যাকাডেমি থেকে উঠে এসেছেন। সেখান থেকে সই করেন ইন্ডিয়ান অ্যারোজে। এর পর ২০১৯-এ তাঁকে সই করায় কেরালা।