Home Football যুবভারতীতে বাগানের কামব্যাক স্টোরি, আইএসএল কাপের ফাইনালে মলিনার দল

যুবভারতীতে বাগানের কামব্যাক স্টোরি, আইএসএল কাপের ফাইনালে মলিনার দল

0

কলকাতা: খেলার ঘড়ি জানান দিচ্ছিল সময় হয়েছে ৯৩ মিনিট। অতিরিক্ত সময়ের বাকি রয়েছে মাত্র দু মিনিট। সেই মুহূর্তেই যুবভারতীতে কাম ব্যাক স্টোরি লিখল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। আপুইয়ার করা গোলে আইএসএল ফাইনালে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। খেলার একেবারে শেষ মুহূর্তে যখন মনে হচ্ছিল খেলা গড়িয়ে যেতে পারে অতিরিক্ত সময়ে ঠিক তখনই প্রাক্তন মুম্বাইয়ের তারকার জাদুর ছোঁয়া। মাঝ মাঠ থেকে আপুইয়ার শট রুখতে পারল না আলভিন গোমেজ। আনন্দের খুশি বয়ে গেল ৫৮ হাজার সমর্থকদের মনে। আইএসএল কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল মোহনবাগান।

জামশেদপুরের বিরুদ্ধে প্রথম লেগে ম্যাচ পরাস্ত হওয়ার পাশাপাশি মনে বিষাদ ছিল বাগান তারকাদের। আক্রান্ত হয়েছিলেন একাধিক সবুজ মেরুন সমর্থকেরা। দ্বিতীয় লেগে খেলতে নামার আগে সাংবাদিক সম্মেলনে সমর্থকদের ধৈর্য ধরবার কথা জানিয়েছিলেন পেট্রাটোস – ম্যাকলারেনরা, এবং সেই কথাই রাখলেন তারা। যুবভারতীতে ২-০ গোলে জামশেদপুরকে উড়িয়ে ফের আইএসএলের ফাইনালে মোহনবাগান। দুই পর্ব মিলিয়ে ফলাফল দাঁড়াল ৩-২।

আজকের ম্যাচে একেবারে প্রথম থেকেই ধরাছোঁয়ার বাইরে আক্রমণ করছিল মোহনবাগান। রীতিমতো একের পর এক আক্রমণের শিকার জামশেদপুর, প্রতিবার জামশেদপুরের বক্সে ঢুকে তাদের ডিফেন্ডারদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে বাধ্য করছিল মোহনবাগান স্ট্রাইকাররা। প্রতিপক্ষে রক্ষণভাগ সামলাচ্ছিলেন জামশেদপুরের প্রণয় হালদাররা। কার্ডের জন্য স্টিফেন এজে, আশুতোষ মেহতারা ছিলেন না।

খেলার একেবারে প্রথম মুহূর্তেই দু মিনিটের মাথায় ফ্রী কি পায় মোহনবাগান, ফ্রি কিক নিতে আসেন লিস্টন কোলাসো। তবে জালে বল জড়াতে পারেননি তিনি। এরপরে একে একে দূর পাল্লায় কিছু প্রহার চালান বাগানের মাঝমাঠের খেলোয়াড়েরা তবে সেখানেও আসে ব্যর্থতা। প্রথম সুযোগ আসে খেলার প্রথমার্ধে জেসান কামিংস এর কাছে। তবে সেখানেও ফলাফল কিছু হল না। মোহনবাগানের খেলা দূরে রাখলেও কলকাতার মাটিতেই আজ জামশেদপুরের জার্সি গায়ে নজর কেড়েছেন প্রাক্তন বাগান খেলোয়াড় প্রণয় হালদার । খেলার রক্ষণ বিভাগকে যেন শক্ত করে ধরে রেখেছিলেন তিনি । কিন্তু শেষ মুহূর্তে তার করা ভুলেই গোল হজম করতে হয় জামশেদপুরকে।

বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করে সবুজ মেরুন শিবির কিন্তু প্রথম গোলটি করে বাগানকে সমতায় ফেরান সেই জেসন ক্যামিংস। প্রণয়ের হাতে লাগে বল এবং পেনাল্টি অর্জন করে ঘরের দল। শান্ত মাথায় রাখা পেনাল্টি জালে জড়িয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাইকার। সমতায় ফিরে আসে মোহনবাগান । এরপরে খেলা ৯০ মিনিট গড়িয়ে যখন অতিরিক্ত সময়ের দিকে অতিবাহিত হচ্ছে, ঠিক এমন অবস্থায় অনিরুদ্ধ থাপার করা পাশে মাঝমার থেকেই দূরপাল্লার শট চালান আপুইয়া। তার প্রহারে আইএসএল কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল মোহনবাগান।

এই নিয়ে টানা তৃতীয়বার আইএসএল কাপ ফাইনালে উঠল সবুজ-মেরুন। যেখানে সামনে সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু।

Exit mobile version